ডেস্ক: দেশ জুড়ে সাত দফা, বাংলাতেও সাত দফা। তবে এতে কোনও সমস্যা হবে না। উলটে সুবিধাই হবে। এই সিদ্ধান্ত উলটে বিজেপির বুমেরাং না হয়ে যায়। সোমবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দৃপ্ত কণ্ঠে বলে গেলেন মমতা। একই সঙ্গে আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করবেন বলে জানান তিনি। যেটা হবে কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে, দুপুর সাড়ে ৩টের সময়।
রমজান মাস চলাকালীন ভোট দিতে অসুবিধা হতে পারে সংখ্যালঘুদের। সাত দফায় কেন নির্বাচন? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে কিছুটা হলেও সমালোচনার সুর শোনাচ্ছিলেন ফিরহাদ-পার্থরা। মমতা কমিশনের সমালোচনা না করলেও এই সিদ্ধান্ত যে বিজেপি দ্বারা প্রভাবিত সেই ইঙ্গিত দিয়েই দিলেন তিনি। মমতার বক্তব্য, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু বাংলাকে অশান্ত করতে এটা আসলে বিজেপির প্ল্যানিং। কিন্তু আমি খুব খুশি, কারণ ওরা মুখের মতো জবাব পেয়ে যাবে। আমরা ৪২-এ ৪২-ই পাব।’ এতক্ষণ ইংরেজিতে কথা বলেই সোজা বাংলায় নেমে আসেন ‘দিদি’। বলেন, ‘বাংলাকে সর্বদা দিল্লি বিশেষ করে বিজেপি খুব অসম্মান করে। ওরা মনে করে বাংলার মানুষ ঘাসে মুখ দিয়ে চলে কিছু বোঝে না। বাংলার মানুষ যে কত বুদ্ধিমান নির্বাচনের সময় তারা অনেকবার দেখিয়েছে আবার দেখাবে। কারণ বাংলাই আগামিদিন দেশ তৈরি করবে।’
মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, ‘আমি খুব খুশি। আমি হেসে খেলে নির্বাচনটা করে নেব, আমার খাটনি কম হবে। ওরা প্ল্যান করতে গেছিল আমাদের বিরুদ্ধে, কিন্তু এটা ওদের বুমেরাং হবে। আমি তো এসব করে অভ্যস্ত। আমার বরং চাপটা কম থাকবে। বাংলাটা আমি খুব ভালো করে চিনি। সেই সুযোগে আমি একটু অসম, উত্তর-পূর্ব, ঝাড়খণ্ড ঘুরে আসতে পারব। সুতরাং আমাদের দিক থেকে কোনও প্রবলেম নেই।’ এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। এরপরই ব্রহ্মাস্ত্র ছোড়েন মমতা। ‘আমার কাছে খবর আছে-বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশকে সাত দফায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটাই কারণে। বিজেপির গেমপ্ল্যান রয়েছে। আমি বলছি না। কিন্তু আমি বেশ কিছু বরিষ্ঠ সাংবাদিকের থেকে খবর পেয়েছি। যে আরেকটা ‘স্ট্রাইক’ করার প্ল্যান হয়েছে। কী ‘স্ট্রাইক’ আমি সেটা বলব না। এপ্রিল মাসে।’ এত দিন ধরে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলেছে বলেও তাঁর মনে পড়ছে না বলে জানান মমতা।