ডেস্ক: বামেদের নাম না করেই ভবাদিঘী প্রসঙ্গে তাদের ফের বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হুগলী জেলার গুড়াপে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার সময় গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার কামারপুকুর-জয়রামবাটি এলাকার উন্নয়নের প্রসঙ্গ তোলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পাল্টা ভাবাদিঘী এলাকায় রেলপ্রকল্প গড়ে তোলার কাজ আটকে থাকার কথা বলেন। সেই কথার সুর ধরেই বেশ বোঝা যাচ্ছে, যে ভবাদিঘী রাজ্য প্রশাসনের কাছে কার্যত এখনো গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ এলাকার কিছু মানুষ উন্নয়ন চান না বলে কি জেলার উন্নয়ন আটকে থাকবে? জেলা প্রশাসন কেন তাদের চিহ্নিত করতে পারবে না যারা উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। হুগলী জেলার যে অংশে এখনো রেললাইন নেই সেখানে রেলকে পৌঁছে দিতেই তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প গড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য কাজটাই মাঝ পথে আটকে আছে। আমরা তো বলেছি, আলাদা পুকুর করে দেব, জাল কিনে দেব, তারপরেও বাধা দিচ্ছে কেন?’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বামেদের নাম না করেই বলেন,’ ৩৪ বছর ধরে ওরা কার কি উপকার করেছে কি উন্নয়ন করেছে? ওদের কথা শুনে কিছু মানুষ বাধা দিচ্ছে কেন? কাজটা হয়ে গেলে জয়রামবাটি-কামারপুকুর এলাকার চেহারা বদলে যাবে সেটা কি ওরা বোঝে না?’
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এদিন গুড়াপে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীন উন্নয়নকে পাখির চোখ করে আলোচনা শুরু করেন। তারপর একে একে ছুঁয়ে যান, সবজি মান্ডি, আনন্দধারা, জল ধরো জল ভরোর মত প্রকল্পগুলি। তারই মাঝে বার্তা দিলেন রামনবমী নিয়ে। জানিয়ে দেন, জেলা প্রশাসন রামনবমীর মিছিলের অনুমতি দেবার সময় এটুকু যেন দেখে নেয় যে মিছিলকারীরা অস্ত্র ছাড়াই মিছিল করবে। এটাও জানিয়ে দেন মহাবীর জয়ন্তীর সময় জৈনরা মীছীল করতে চাইলে তাদের যেন অনুমতি দেওয়া তবে সেক্ষেত্রে মিছিল করতে হবে বিকাল্বেলায় কারণ তখন পরীক্ষা চলবে। মুখ্যমন্ত্রী জোর দেন জেলার সংশোধনাগারগুলিতে বন্দিরা যাতে কোন আইনভঙ্গের কাজ না করে সেটা দেখতে। পুলিশকেও আইনশৃঙ্খলা কড়া হাতে ধরে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জোর দেন ফুরফুরা শরিফ, তারকেশ্বর, কামারপুকুর এলাকার সৌন্দর্যায়নের ওপরের নজর দিতে বলেন।