ডেস্ক: দেশজুরে উঠতে থাকা গেরুয়া ঝড়কে সামলাতে তবে কি ফের রাহুল গান্ধির হাত ধরতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৈরি হয়েছে এমনই সম্ভাবনা। যেভাবেই হোক বিজেপিকে রুখতে হবে, আর সেই কার্য সিদ্ধি করতে রাজনীতির মঞ্চে ফের একসঙ্গে দেখা মিলতে পারে রাহুল-মমতার। কয়েক দফা বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাইছে কংগ্রেস ও তৃণমূল শিবির।
আগামী মাসের ১৮ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার বিলম্ব পুনরায় জোটের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে ত্রিপুরার শাসক দল সিপিএম নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নেমে পড়েছে প্রচারে। কিন্তু ভোট ময়দানে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী দিয়ে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। অন্যদিকে এই রাজ্যে ক্রমশই নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি। তারাও বিধানসভায় ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রধান বিরোধী হিসাবে পরিচিত কংগ্রেস বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে সেখানে। ফলে ত্রিপুরায় উদীয়মান শক্তি বিজেপিকে দমিয়ে রাখতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোটের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এক-দু’দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত রূপ নিতে পারে এই জোট।
কংগ্রেস অন্দরমহল সূত্রে খবর, তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়তে কিছুটা হলেও দ্বিমত থাকেলও মমতা চাইছেন কংগ্রেসের হাত ধরে ত্রিপুরায় জমি ফিরে পেতে। আর সেই কারণেই ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত সব্যসাচী দত্তকে তিনি কয়েকদফা বৈঠকে পাঠিয়েছেন। বৈঠকে প্রাধান্য পাচ্ছে মূলত ত্রিপুরা-মেঘালয়। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, জোট ইস্যু কেন্দ্র করেই এখনও আটকে রয়েছে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা। এই নিয়ে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের উপস্থিতিতেই একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ত্রিপুরায় বিরোধী শিবিরগুলি মিলে চতুর্থ ফ্রন্ট গঠন হবে কিনা।