ডেস্ক: এক ধাক্কায় ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান! ত্রিপুরার শাসকদল সিপিএমের জন্য এই ফল যে অপ্রত্যাশিত ছিল তা কার্যত স্বীকার করেই নিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। একই সঙ্গে এই প্রশ্নও তুলে দিলেন যে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কি তবে বামদূর্গ ভাঙার প্রধান কারণ হয়ে উঠল?
ভোটের শতকরা হার নেহাত কম না থাকলেও এভাবে আসন কমে যাবে তা ভাবতে পারেন নি মানিকবাবু। ঐতিহাসিক পরাজয়ের পর অবশেষে মুখ খুললেন তিনি, এবং স্বীকার করলেন ভোটের যে এই ফলাফল হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন নি তিনি। ফল প্রকাশের পর নিস্তব্ধতা ভেঙে মানিকবাবু বলেন, কেন এই পরাজয় তা অবশ্য খতিয়ে দেখা হবে এবং সমস্ত কারণগুলি পর্যালোচনা করা হবে। ফল প্রকাশের আগেই মানিকবাবু জানিয়েছিলেন, বিজেপি কোনও ভাবেই ত্রিপুরা জয় করতে পারবে না। হারের পর এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মানিক জানান, ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবেন তারা।
অন্যদিকে, ত্রিপুরায় বিজেপির এই বিরাট জয় চিন্তায় ফেলেছে কেরলের বাম নেতৃত্বকে। এই হারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছেন সীতারাম ইয়েচুরি। অন্যদিকে, সিপিএমের একাংশ বরিষ্ঠ নেতাদের মত, টাকা এবং নিজেদের ক্ষমতা কাজে লাগিয়েই নির্বাচন জিতেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, নতুন মন্ত্রীসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত এবং নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ না নেওয়া পর্যন্ত মানিক সরকারই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন।