মহানগর ওয়েবডেস্ক: শ্রেষ্ঠ উৎসব তো বটেই, দুর্গাপুজোর সঙ্গে এক আন্তরিক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির। আর সেই পুজোতে অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও বেশ ব্যস্ত তিনি। মায়ের চক্ষুদান থেকে শুরু করে শহরের একাধিক পুজোর বিশেষ অতিথি তো পুজো উদ্বোধনে তাঁর বাধা ধরা আমন্ত্রণ রয়েইছে। তবে এবার নাকি কানাঘুষো পুজোয় ভাগ বসাতে বিজেপি এসেছে দুয়ারে। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না, কলকাতায় ব্যস্ততার পাশাপাশি এবার আবার ভিন রাজ্য থেকে এসেছে ডাক। সব মিলিয়ে পুজোয় এবার বেশ ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর ব্যস্ত হবেন নাই বা কেন, নবান্নের ১৪ তলায় চিফ মিনিস্টার্স অফিসে পুজোর আমন্ত্রন পত্র আসার বিরাম নেই। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজারের বেশি আমন্ত্রনপত্র এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এছাড়াও দিল্লি, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ডের মতো রাজ্য থেকেও এসেছে পুজোর আমন্ত্রণপত্র। পুজো উদ্বোধনের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি এসেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি। চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকাররের গ্রিভান্স সেলের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে অনুরধ জানাচ্ছেন কেউ তো দিদিকে বলোতে ফোন করে দিদিকে আসার আবেদন করছেন বহু পুজো উদ্যোগতা। কেউ কেউ আবার এটা ধরেই নিয়েছেন তাদের ওখানে দিদি হয়ত আসবেন না তাই অনুরোধ জানিয়েছেন কিছু অন্তত শুভেচ্ছা বার্তা তাদের পুজোর জন্য পাঠাতে। এমন অনুরোধ এসেছে প্রায় ৬ হাজার। ব্যস্ততার মাঝে থেকে সে আবদার অবশ্য কিছুটা হলেও মেনেছেন তিনি। একের পর সই করে গিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তায়।
উল্লেখ্য, গত বছর শহরের নানান প্রান্তে ঘুরে ঘুরে অন্তত ৭৫ টি পুজো মন্ডপে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যস্ততার মাঝেই সুরুচির থিম সং লেখা থেকে শুরু করে চেতলা অগ্রণীতে মায়ের চক্ষুদান সবই হয় তাঁর হাতেই। এবার অবশ্য পুজোর দায়িত্ব আগের চেয়ে আরও বাড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।