ডেস্ক: মোহনবাগানে নতুন কোচ এসেই এনে দিয়েছেন তিন পয়েন্ট। গোলে ফিরেছেন ডিপান্ডা ডিকা। মাঝ মাঠে সফল সনি নর্ডি, মিনার্ভা পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গোল হজম করেনি ডিফেন্স। ম্যাচ সেরা ওমর এলহুসেইনি। খালিদ জামিলের তুকতাক রয়েছে আগের মতোই। ময়দানে ‘তুকতাক কোচ’ হিসাবে পরিচিত খালিদের হাত ধরে কি তবে বদলে গেলো মোহনবাগান?
আগামীকাল বাগানের সামনে নেরোকা হার্ডল। এর আগে প্রথম লেগের ম্যাচে ম্যাচে নেরোকার বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে পরাস্ত হয়েছে হয়েছিল বাগান। দলের স্কোয়াড মোটের উপর একই থাকলেও, বদলেছে দলের হেডস্যার। তাই বদল এসেছে পরিকল্পনা এবং খেলার ধরণেও। শঙ্করলাল চক্রবর্তীর আমলে মাঝমাঠের পাশাপাশি আক্রমণেও ঝাঁঝ বাড়াত মোহনবাগান। সেখানে খালিদের প্রথম ম্যাচে বাগান যেন কিছুটা ডিফেন্সিভ। মাঝমাঠে লড়াই চললেও, আক্রমণে ঝাঁঝ ছিল কিছুটা কম। তুলনামূলক কম শক্তিশালী মিনার্ভার বিরুদ্ধে বাগানের খেলা ঘটনাহীন।
চোট আঘাতে জর্জরিত মিনার্ভার ভাঙাচোরা আক্রমণ ভাগের সামনেও মাঝেমাঝে বেগ পেতে হয়েছে মোহনবাগান ডিফেন্সকে। বর্তমানে মিনার্ভার দলের তুলনায় নেরোকা ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে। স্কোয়াডে রয়েছে এডুয়ার্ডো, কাতসুমির মতো বাগান প্রাক্তনীরা। ভুললে চলবে না, চলতি আই লিগে কাতসুমির বুট থেকেই এসেছে মরসুমের সবথেকে দ্রুত গোল।
পয়েন্ট টেবিলে ঘুরে দেখাতে হলে যেনতেন প্রকারে নেরোকাকে হারাতেই হবে খালিদ ব্রিগেডকে। পয়েন্টের বিচারে ইস্টবেঙ্গলের একধাপ উপরে রয়েছে নেরোকা। ১১ ম্যাচ খেলে ২১ পয়েন্ট নেরোকার। সেখানে এক ম্যাচ বেশী খেলে বাগানের পয়েন্ট ১৮। রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে হেরে খেতাব দৌড় থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে মোহনবাগান। তাই এই মুহুর্তে ধারাবাহিক জয়ই শেষ ভরসা শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে।