মহানগর ওয়েবডেস্ক : রাস্তায় পড়ে থেকে কষ্ট পাচ্ছিলেন, ফেসবুকে আরাধনা চট্টোপাধ্যায় ও জয়দীপ সেন এক বৃদ্ধের কথা জানান। তার অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। সেই পোস্ট দেখেই সাহায্যে করতে এগিয়ে আসেন মিমি চক্রবর্তী। কলকাতা পুলিশের সহায়তায় গ্যাংরিনে আক্রান্ত হওয়া বৃদ্ধকে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন সাংসদ মিমি।
আর সেই খবর সম্প্রচার হতেই নিজের হারানো বাড়ির লোককে খুঁজে পান। ওই বৃদ্ধ আসলে রাণাঘাটের গাঙনাপুরের শীল পরিবারের সদস্য। মিমির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার ওই বৃদ্ধের ভাইপো ও তাঁর নাতি সৌরভ শীল। ওই বৃদ্ধের নাম কুমোদ শীল। তারপরেই মিমির সহায়তায় নিজের কাকার সঙ্গে দেখা করতে পারেন কুমোদ শীলের ভাইপো। তারা জানান, বাড়ি থেকে তিনমাস আগে পেনশন তুলতে বেড়িয়ে বেপাত্তা হয়ে যান। কিন্তু কীভাবে কলকাতায় এলেন তার কথা জানেন না তারা।
গত ২২ অগস্ট আরাধনা চট্টোপাধ্যায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট নজরে পড়ে সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর। আরাধনা চট্টোপাধ্যায় ও জয়দীপ সেন নামে দুই ব্যক্তি শেক্সপীয়র সরণিতে ওই অসুস্থ বৃদ্ধ কুমোদ বাবুকে বেঞ্চের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা দেখেন বৃদ্ধের পায়ে গ্যাংরিন হয়ে গিয়েছে। তাঁর পায়ে সংক্রমণ এতটাই বেশি যে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না। বৃদ্ধকে আরাধনা ও জয়দীপ খাবার ও জল দেন। তাঁরা বুঝতে পারেন, এই বৃদ্ধের অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু হাজারো চেষ্টা করে কোথাও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা। পরবর্তীতে ফেসবুক পোস্ট করেন তারা। আর সেই পোস্ট দেখেই এগিয়ে আসেন মিমি। আর তারপরেই শীল পরিবার তাদের বাড়ির হারানো মানুষকে খুঁজে পাওয়ার পর মিমিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।