ডেস্ক: দলের চাপে তাঁর মন্তব্যর জন্য স্বাধ্বী প্রজ্ঞা প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেও তিনি এই বিষয়ে পাশে পেয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে৷ প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সাফ জানান, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর শিখ দাঙ্গা নিয়ে কংগ্রেস সহ মিডিয়া কিছু সমালোচনা করে না৷ পদ্ম শিবিরের পুরোধা হয়েও তিনি কমলে দোষ দেখেন সবসময়৷ তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন, ‘১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার জন্য অন্যতম অভিযুক্ত কমল নাথ আজ মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী। কই এই নিয়ে তো মিডিয়া কখনো কোনও প্রশ্ন তোলে না?’ তাহলে প্রজ্ঞাকে নিয়ে এত আপত্তি কেন সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের?
ইন্দিরার মৃত্যুর পরে পুত্র তথা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী শিখ দাঙ্গা সম্বন্ধে মন্তব্য করেছিলেন, এক বিশাল মহীরুহর পতনের পর এমন অবস্থা হয়৷ তবু তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ তাই হেমন্ত সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যর পরেও ভোপালে স্বাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিজেপি প্রার্থী করা নিয়ে বিরোধী সহ সংবাদমাধ্যম অত হইচই এর কোনও কারণ দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘চুরাশির শিখ দাঙ্গাবাজদের অনেকে বিধায়ক ও সাংসদ হয়েছেন৷ হাল আমলে একজন মুখ্যমন্ত্রীও(কমল নাথ) হয়েছেন৷ তা নিয়ে কেউ কোনওদিন প্রশ্ন তোলে না৷ গোধরা থেকে প্রজ্ঞা – সব কিছুতেই সংবাদমাধ্যম বিজেপির দোষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করলেন তিনি৷ সেইসঙ্গে তাঁর সাফ বক্তব্য, জামিনে মুক্ত রাহুল গান্ধী প্রার্থী হলে স্বাধ্বীও হতে পারেন৷ আসলে কংগ্রেস সবসময় নিজের দোষ লুকিয়ে অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করে৷ এটাই ওদের সংস্কৃতি বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন মোদী৷
এদিকে ফের বিতর্কে জবিয়ে পড়লেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী স্বাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর৷ শুক্রবার এক কর্মী সভায় ভোপালের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ অলোক সঞ্জয়-এর আত্মত্যাগের প্রশংসা করেন তিনি৷ তার উত্তরে অলোক স্বাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরকে মহিষাসুরমর্দিনী মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেন৷ সেইসঙ্গে তাঁর আর্জি, তাঁরা দুজন মিলে দ্বিগ্বিজয়ের মেতা মহিশাসুরকে বধ করবেন এবার৷ তাঁর এই কথায় সম্মতি জানান স্বাধ্বী৷ ভোপালের এই বিজেপি প্রার্থীর সোজা কথা, হিন্দু ধর্মকে কলুষিত করার কেউ চেষ্টা করলে তাকে মহিষাসুরের মতো বধ হতে হবে৷ অলোকের কথায়, দ্বিগ্বিজয়ের পাপের ঘরা পূর্ণ হয়েছ৷ এবার এই মহিষাসুরকে বধ করবেন ভোপালের নয়া বিজেপি প্রার্থী৷