মহানগর ওয়েবডেস্ক: আজ বলা যেতে পারে এবারের কলকাতা লিগের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে মহামেডান ও পিয়ারলেস। দুই দলই এই ম্যাচকে কার্যত সেমিফাইনাল হিসেবে দেখছে। এই মুহূর্তে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে পিয়ারলেস। অন্যদিকে, ৯ ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট মহামেডানের। ফলে আজ জহর দাসের দলকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ সাদা-কালো বাহিনীর। অন্যদিকে, আজ জিতলে পিয়ারলেসের লিগ জয় প্রায় সময়ের অপেক্ষা, তা বলাই যায়।
গত ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ফুটবল খেলে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে এনেছিলেন তীর্থঙ্কর, চিডিরা। ফলে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে গোটা দল। দলের কোচ সায়েদ রামেন জানান, ‘আমরা ছন্দে রয়েছি। জয় পাওয়ায় দল বেশ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। লিগ প্রায় শেষের মুখে। আমরা খেতাবি লড়াইয়ে রয়েছি। ফলে আজকের জয়টা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এই কলকাতা লিগে বলা যায় সকলকে চমকে দিয়েছে পিয়ারলেস। গত বছর জহর দাস দলকে রানার্স আপ করালেও এখনও পর্যন্ত খেতাবি দৌড়ে তারাই সবচেয়ে এগিয়ে। এমনকি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকেও হারিয়েছে তাঁরা। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় লিগে ১১টি গোল করা ক্রোমা কার্ড সমস্যায় নেই এই ম্যাচে। সেটা বেশ স্বস্তি দিচ্ছে মহামেডান টিডি দিপেন্দু বিশ্বাসকে। ‘আমরা শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের মতো দলকে হারিয়েছি। ফলে আমরা বেশ কনফিডেন্ট। আজ পিয়ারলেসকে হারালে লিগ জয়ের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাব। এছাড়া ওদের সেরা অস্ত্র ক্রোমা নেই এই ম্যাচে। সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট’, বলেন তিনি।
তিন প্রধানের মধ্যে এবার মহামেডানের মাঠের হালই সবচেয়ে খারাপ। মাঠে কাদার পরিমাণ এতই বেশি যে বল রোল প্রায় হয়ই না। যদিও সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন জহর দাস। তিনি জানান, ‘আমার মতে অন্যান্য বারের থেকে এবার মহামেডান মাঠের হাল কিছুটা হলেও ভাল। ওরা জানে মাঠ ভাল হলেই ছেলেরা ভাল খেলা খেলবে। তাই সেইভাবেই মাঠের পরিচর্যা করেছে। এছাড়া ওদের তীর্থঙ্কর খুব ভাল ফর্মে। বল ডিস্ট্রিবিউশন যেমন করছে, তেমন গোলমুখি শটও নিচ্ছে। পায়ে জোর আছে। ফলে ওকে আলাদা ভাবে মার্কিং করতেই হবে।’