ডেস্ক: সেই গোষ্ঠ পাল থেকে শুরু করে জার্নেল সিং, সুব্রত ভট্টাচার্য, নৈমুদ্দিন। হেভিওয়েট ডিফেন্ডারদের ক্ষেত্রে দেশের অনেক ক্লাবকেই টেক্কা দেবে মোহনবাগান। এহেন সবুজ- মেরুনে কিমকিমার আগমল হল কার কোটায়, তা নিয়ে দির্ঘ গবেষণা হতেই পারে। নিজের গোলে বল রাখার ক্ষেত্রে তার ধারেকাছে ভুভারতে কেউ নেই। প্রায় একক প্রচেষ্টায় মোহনবাগানের সুর্যকে কালচে-মেরুন করে দিলেন তিনি। চাঁদের মতো এই সৌর জগতের এই নক্ষত্রের গায়েও আজকাল কলঙ্ক দেখা যাচ্ছে এবং তার নাম কিমকিমা।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পাড়ত মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে নেওয়া লব কয়েকবার মাটি ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল বাগান পোস্টের পাস থেকে। শিল্টন পাল গোল ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে এসেছিলেন। চোখ এড়ায়নি মার্কোস জোসেপের। মাঝমাঠ থেকেই নিলেন একটি লব। সে যাত্রায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল মোহন দুর্গ। একসময় বোঝা দুষ্কর হয়ে পড়েছিল হোম ম্যাচটা আদপে কাদের। এরই মধ্যে কর্ণার থেকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন শিল্টন ডি’সিলভা। সনি নর্ডির নেওয়া কর্ণার থেকে হেডারে গোল করে যান শিল্টন। কিন্তু তিন পয়েন্ট জেতার সেই খিদেটাই যে নেই। আক্রমণে উঠতে গিয়ে গড়ের মাঠ বাগান ডিফেন্স। এক সময় সুযোগ বুঝে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে এলো গোকুলাম এফসি।
মোহনবাগান বক্সে আক্রমণের লক্ষ্যে পাস বাড়িয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ফুটবলার। পা বাড়ালেন বাগান ডিফেন্ডার কিমকিমা। তবে গোল বাঁচানোর জন্য নাকি গোল করার জন্য তা অবশ্য বোধগম্য হল না। কিমকিমার পায়ে লেগে বল ঢুকে গেল তেকাঠিটিতে। বাগান ডিফেন্ডারের সৌজন্যে ২২ মিনিটে স্কোরলাইন ১-১। তার ঠিক দুই মিনিট পরেই গোকুলামের দ্বিতীয় গোল। গোলস্কোরার সেই মার্কোস জোসেপ। এরপর যথারীতি বিরক্তিকর ফুটবল। সনি নর্ডি মাঠের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত করলেন বটে। তবে কাজের কাজটি আর হল কই। দ্বিতীয়ার্ধ্বে কিছুটা চেষ্টা চালালেন হেনরি। তার বাড়ানো পাস থেকে ডিকা’র গোল। চলতি মরসুমে নিজের নামের পাশে ছয় গোল তুলে নিলেন ডিকা। এরপর অবশ্য আর গোল করতে পারেনি কোনও দলই। স্কোরলাইন ২-২। এক পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান রইল সেই ছয় নম্বরেই।