মহানগর ওয়েবডেস্ক: মহামেডানের কাছে দিশাহীন ফুটবল ও হার, পরপর দু’বার ঘরোয়া লিগ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। বিশাল কিছু অঘটন না ঘটলে খেতাব জয়ের আশা আর নেই সবুজ-মেরুনের। তা সত্ত্বেও লিগের প্রথম তিনে শেষ করার একটা মরিয়া চেষ্টা করতে চাইছে দল। সেই আশা নিয়েই আজ সাদার্স সমিতির বিরুদ্ধে খেলতে নামছে কিবু ভিকুনার দল।
লিগ লড়াই থেকে ছিটকে গেলেও এখনই হতাশায় দলকে ডুবতে দিতে চান না কিবু। অন্যদিকে, মোহন কর্তারাও এখনই দলকে আতস কাঁচের তলায় ফেলে কোচের উপর চাপ বাড়াতে চান না। সাদার্ন তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও বিপক্ষকে সমীহই করছেন বাগান কোচ। ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন শেষে জানান, ‘সাদার্ন হয়তো একটা ম্যাচ জিতেছে। কিন্তু ড্র করেছে ছটা ম্যাচে। ফলে ওদের হালকা ভাবে নেওয়া মুর্খামি হবে। এছাড়া ওদের সিরিয়ান মিডিও আমনাও খুব ভাল।’
এবার সাদার্নের দায়িত্বে রয়েছেন গত বছর মোহনবাগানের হয়ে খেলা মেহতাব হোসেন। যদিও তাঁর কোচিংয়ে খুব একটা ভাল ফল করতে পারেনি দল। তা সত্ত্বেও মোহন ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী মেহতাব। তিনি জানান, ‘এটা আমাদের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ। আমাদের পয়েন্ট পেতেই হবে। নাহলে অবনমনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে মোহনবাগান আগের ম্যাচ হারায় এই ম্যাচে ওরা জয়ের জন্য ঝাঁপাবে। তবে আমার ছেলেরা তৈরি।’
রেফারি না আসায় ম্যাচ বাতিল
সত্যিই বঙ্গ ফুটবলের কী হাল! সোমবার কল্যাণীতে ম্যাচ ছিল রেনবো ও কালীঘাট এমএসের। যে সে ম্যাচ নয়, কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার এ ডিভিশনের ম্যাচ। আর সেই ম্যাচই ভেস্তে গেল। কারণ, ম্যাচ পরিচালনার জন্য নাকি মাঠে পৌঁছতেই পারেননি রেফারিরা। হাস্যকর এই ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে বঙ্গীয় ফুটবল সংস্থা।
দুই দলের সামনে অবনমনের খাড়া ঝোলায় এই ম্যাচ ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রেফারি না আসায় খেলা হয়নি। ফলে চটেছেন দুই দলের কর্তারা। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জিকে নালিশও করেন তাঁরা। ক্ষুব্ধ জয়দীপ জানান, ‘আমার কাছে সব ম্যাচের গুরুত্ব সমান। রেফারি সংস্থা নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। তা সত্ত্বেও আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। আর ম্যাচটি ২৫ তারিখ ফের খেলা হবে।’