ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যসচিব ও ডিজি’র সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই ফের বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি করা হয়, বিজেপির প্রতিনিধি দলে মুকুল ও জয়প্রকাশের নামে ফৌজদারী মামলা রয়েছে। তাদের সঙ্গে কীভাবে দেখা করা সম্ভব? রাজ্যের এই সওয়ালের পর পালটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় নিয়ে তোপ দেগেছেন মুকুল রায়। তিনি দাবি করেন, মমতার নামের মামলার ফাইল নাকি গায়েব হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের দাখিল করা হলফনামা নিয়ে এদিন মুকুল বলেন, রাজ্য সরকারের বিপদকালে বুদ্ধি বিনাশ হয়। ভারতের সংবিধান, আইনকে মান্যতা দেয় না তারা। সোনিয়া গান্ধী, চন্দ্রবাবু নাইডু, পি চিদম্বরম, রাহুল গান্ধী; সবার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মুকুলবাবু আরও বলেন, ১৯৯৩ সালে বারাসতের ঘটনায় মমতার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা হয়েছিল। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সেই ফাইল উধাও হয়ে গিয়েছে। সেটা কোথায় রয়েছে, নাকি হারিয়ে দেওয়া হয়েছে তার জবাব নেই।
এখানেই থেমে না থেকে মুকুল আরও বলেন, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী কেউ দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সে নির্দোষ। মায়াবতীর উদাহরণ টেনে মুকুল বলেন, মায়াবতীকে একবার নির্বাচন কমিশন চার্জশিট দিয়েছিল বলে নির্বাচন থেকে বিরত করেছিল। কিন্তু, পরবর্তী ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট অর্ডার দিয়ে বলেছিল, চার্জশিট দেওয়া বা কোনও মামলায় থাকার অর্থ নির্বাচন থেকে বিরত রাখা নয়। হাইকোর্টের সুরে সুর মিলিয়েই এরপর মুকুল বলেন, ডিজি সহ মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধে মামালা রয়েছে। ফলে এই ধরনের অভিযোগ সময় নষ্ট করার কৌশল বলেও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারি আইনজীবী এদিন আদালতকে জানান, যেহেতু মুকুল ও জয়প্রকাশের নামে একাধিক ফৌজদারী মামলা রয়েছে, সেই কারণে তাঁদের সঙ্গে রথযাত্রা নিয়ে আলোচনায় বসা যাবে না। এই প্রশ্ন শুনে বিচারপতি পালটা প্রশ্ন করেন, আইজি-ডিজির বিরুদ্ধেও তো মামলা চলছে। তাহলের তাদের সঙ্গে বৈঠক কীভাবে সম্ভব? সূত্রের খবর, আদালতের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। তবে আদালতে এই মামলাটি গ্রহণ হয়েছে এবং আগামী মঙ্গলবার এর শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।