নিজস্ব প্রতিনিধি: এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তেতে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট। সঞ্জিত ঘোষ নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মঙ্গলকোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, ‘এই ঘটনায় সরাসরি হাত আছে বিজেপি’র। ভোটের আগে এলাকা অশান্ত করতেই তাঁরা এই কাজ করেছে।‘ যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে, এই খুনের ঘটনা ঘটেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে।
দলের কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজেপি’র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে হুঙ্কার দিয়েছেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনায় তিনি বিজেপিকে দায়ী করে সরাসরি বলেছেন, ‘সন্ত্রাস করলে এবার ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেব। গ্রামছাড়া করে দেব। আমার থেকে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না।‘ আগামী শুক্রবার তিনি নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের নিগন এলাকার তৃণমূল বুথ সভাপতি ছিলেন নিহত সঞ্জিত ঘোষ। সোমবার দুপুরে তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক দলীয় নেতা। কিছুদুর যাওয়ার পর তাদের পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। মোটরবাইক থেকে নামিয়ে তাদের ওপর লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তারা। দু’জনকে ব্যাপক মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জন সেখানে লুটিয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতলে। কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সঞ্জিতকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খুনের ঘটনায় তেতে উঠেছে মঙ্গলকোট। খুনের ঘটনায় তৃণমূলের তরফে বিজেপিকে দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি এই দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে জানিয়েছে। তারই মধ্যে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডলের এই হুঙ্কারে আরও তেতে উঠেছে গোটা এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি।