ডেস্ক: শুক্রবারই পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে। এবার নতুন করে ভারতের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল ইসলামাবাদকে। ইমরান খানের ‘নতুন’ পাকিস্তান যদি নতুন চিন্তাধারার শরিক হয়, তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও তাদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানান ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার।
জঙ্গি হামলা হলেই প্রমাণ চাওয়া কার্যত স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। যথেষ্ট প্রমাণ দেওয়া হলেও প্রতিবারই কোনও প্রমাণই যেন দেখতে পায় না সে দেশের প্রশাসন। তবে ইমরান খান গতবছর ক্ষমতায় এসেছিলেন নতুন পাকিস্তান গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তাঁর সমর্থকদের দাবি, সত্যিই নাকি নয়া পাকিস্তান তৈরি করার কাজ করছেন ইমরান। এবার পাল্টা ভারতের তরফ থেকে তাই বলা হল, পাক মাটিতে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধেও নতুন ব্যবস্থা নিতে হবে ইমরানকে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, ‘পাকিস্তানের দাবি ওরা নয়া চিন্তা ভাবনাকে ভিত্তি করে নতুন পাকিস্তান গড়ছে। যদি সত্যিই এমনটা হয়, তবে পাক মাটিতে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও নতুন করে পদক্ষেপ নিতে হবে তাদের।’ একই সঙ্গে ভারতের বক্তব্য, পাকিস্তানের অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য আর সহ্য করে নেবে না নয়াদিল্লি।
পুলওয়ামায় হামলায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার পরই পুরো ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মহম্মদ। ভারতের তরফে সেই প্রমাণ তুলে দেওয়া হয় পাকিস্তানের কাছেও। কিন্তু ইমরান খান বলে চলেছেন, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশের কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ দিনকয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে পাক বিদেশমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করে নেন, যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে জইশ প্রধানের। সেই দাবি নস্যাৎ করতে আবার আসরে নামতে হয় পাক সেনা মেজর জেনারেলকে। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা হয়ে ক্রমশ দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে আবার ইমরান খানদের দ্বিচারিতার বিষয়গুলিকে প্রকাশ্যে এনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অস্বস্তি বাড়িয়েছে ভারত।
ভারতের বুকে একের পর এক জঙ্গি হামলার পরেও পাকিস্তানের হাত গুটিয়ে বসে থাকার বিষয়টি ভালো ঠেকেনি বিদেশমন্ত্রকের চোখে। আক্রমণ শানিয়ে রবিশ বলেন, ‘জঙ্গি হামলার দায় নিজেই স্বীকার করেছে জইশ। তাহলে কোনও সন্দেহ আসছে কোথা থেকে? এত প্রমাণের পরও নিজেদের ভূমিকা অস্বীকার করে এসেছে পাকিস্তান। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’