মহানগর ওয়েবডেস্ক: চেনা চোখে পুজো মানে চোখে ভেসে ওঠে একটি ছবি। ত্রিশূল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দেবী দুর্গা পায়ের কাছে আছড়ে পড়ে রয়েছে ‘অশুভ’ শক্তি মহিষাসুর। তবে আপাত চক্ষে যেটুকু দেখা যায় তার সবটাই কি ঠিক? নাকি দেব মাহাত্ব্য প্রচারে সেখানে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিছু গল্প কথা। বাস্তব জগতেও দেব আর আসুরের ভেদাভেদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এবার সেটাই হাতিয়ার করে রুপোলি পর্দায় অসুরের মাহাত্ম্য প্রচারে নামলেন চিত্রপ্রযোজক তথা অভিনেত্রী সৌমি দত্ত। চেনা ছক ভেঙে একটু অন্য রুচির এই সিনেমার নাম বরুণাসুর।
দুষ্টের নিধন এবং শিষ্টের পালন করতেই প্রতিবছর মা আসেন বাপের বাড়ি। অসুররূপী দুষ্টকে নাশ করে মর্ত্যে তিনি নিয়ে আসেন শান্তি। দীর্ঘকাল ধরে অসুর মানেই খারাপ, এমন ভাবনা মনের গহণে সযত্নে লালন করি আমরা। তবে অচলায়তন ভেঙে অসুরদের ভাল দিক নিয়ে এবার বর্ধমান শহর থেকে তৈরী হল পুর্ন দৈর্ঘ্যের সিনেমা বরুণাসুর। আগামী শনিবার মহালয়ার দিন যে সিনেমার উদ্বোধন হতে চলেছে বর্ধমান শহরের সংস্কৃতি প্রেক্ষাগৃহে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বরুণাসুরের চিত্রপ্রযোজক তথা অভিনেত্রী সৌমি দত্ত রায় জানান, ‘সাধারণত অসুর বলতে বোঝা হয় দেবী দুর্গার পায়ের কাছে মৃতপ্রায় একটি প্রতিমূর্তি, যা অশুভ শক্তির বার্তা বহন করে। কিন্তু এই ছবিতে দেখানো হয়েছে জগত সংসারকে রক্ষা করতে একজন অসুরকে। কিভাবে ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে লড়াই করে চলেছে সে জগত সংসারকে রক্ষা করতে।’ অন্য রকম ভাবনায় তৈরি ২ ঘন্টা ১৫ মিনিটের এহেন সিনেমা নিয়ে বেশ আশাবাদী সৌমি দত্ত।
পূর্ণ দৈঘ্যের এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও তামিলনাড়ুর কোদাইকানালে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ধরণের কোনো ছবি তৈরী হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ছবির প্রশংসা করেছেন টলিউড অভিনেত্রী কোয়েল, শুভশ্রী, পরিচালক তথা গায়ক ও অভিনেতা অঞ্জন দত্ত, অভিনেতা সোহম, পরমব্রত, পরিচালক রাজা চন্দ প্রমুখরা। চিত্র পরিচালক সৌরভ দাস জানিয়েছেন, তাঁরা আশাবাদী দীর্ঘদিন পর দর্শকদের কাছে একটা ভাল এবং নতুন করে ভাবনা সৃষ্টি করার ছবি তাঁরা উপহার দিতে পারবেন। এদিন টলিউডের নায়ক নায়িকারাও রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বর্ধমান থেকে এই ধরণের যে একটা ফিল্ম তৈরী হতে পারে এবং যে ছবি সম্পূর্ণ আলাদা মাত্রার, আলাদা গল্পের ছবি না দেখলে জানাই যেত না।