মহানগর ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের নাম করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ভারতের উন্নয়নের স্বপ্ন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি তাঁর বক্তৃতার রেশ রেখে গেলেন রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে৷ আজ সারা বিশ্বের সামনে বড় আতঙ্ক সন্ত্রাসবাদ৷ তাই মোদীর কথায় বারবার জায়গা পেল সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের কথা৷ শান্তি ও সম্প্রীতি নিয়ে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, মানবতা আজ চ্যালেঞ্জের মুখে৷ মোদী কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে একটা কথাও বলেননি৷ এমনকী পাকিস্তানের সঙ্গে অশান্তির ব্যাপারেও তিনি নীরব থেকেছেন৷ তাঁর সরকার স্বচ্ছতা অভিযান থেকে স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি৷
অন্যদিকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মোদীর পরেই বলতে ওঠেন৷ কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার সুর বেঁধে দেন তিনি৷ ভারত-সম্পর্কের অবনতি এবং উত্তেজনার প্রসঙ্গ টেনে বারবার কূটনৈতিক চাল চালার চেষ্টা করেন৷ এমনকী পরমাণু অস্ত্র ও যুদ্ধের প্রসঙ্গ আসে তাঁর কথায়৷ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা করার অনেক চেষ্টা করেছে পাকিস্তান৷ ফলে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ইমরান যে এই নিয়ে সরব হবেন তা বলাই যায়৷ ভারত বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে কাশ্মীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ এই নিয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ মানবে না নয়াদিল্লি৷ তাই এই প্রসঙ্গ রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ওঠানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না মোদী৷
এ দিন কুড়ি মিনিটের বক্তৃতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলেন মোদী। একটি উন্নয়ন, অন্যটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো। এক দিকে বলেছেন দূষণ রোধ থেকে ডিজিটাল ভারত গড়ার কথা। অন্য দিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন৷ বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, পাকিস্তানের নাম করে তাকে বাড়তি গুরুত্ব না-দেওয়ার কৌশলই এ দিন নেওয়া হবে। কারণ মোদীর বক্তৃতার আধ ঘণ্টার মধ্যেই বক্তব্য রাখবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর বক্তৃতার প্রতিটি পরতে যে ভারত-বিদ্বেষ থাকবে, তা জানাই ছিল। তাই এই বিদ্বেষের লড়াইয়ে না-গিয়ে আন্তর্জাতিক সর্বোচ্চ এই মঞ্চে নতুন ভারতের স্বপ্নকেই ফেরি করলেন মোদী।