মহানগর ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা। রবিবার গোটা দেশ কার্যত লকডাউন, জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এদিনও এই ভাইরাস বিষের মতো ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভাইরাস সংক্রমণের একটা বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে ট্রেন চলাচল। যার জেরে এবার গোটা দেশেই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হতে পারে বলে খবর। জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।
রবিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পঞ্চম মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে মহারাষ্ট্রের মুম্বই থেকে। এক ৬৫ বছরের ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই সময়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ দরকার বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ। যার অন্যতম এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা। ১৩০ কোটির দেশে এই কাজ করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তাই আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হতে পারে। কমপক্ষে ৪-৫ দিন এই জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখার পক্ষে সহমত পোষণ করছে ওয়াকিবহাল মহল। এতে কয়েক লক্ষ মানুষ সাময়িক অসুবিধার সম্মুখীন হলেও এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকে দেওয়া সম্ভব হবে। ঠিক যেমনটা চিন করে দেখিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জনতা কার্ফুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে ভারতীয় রেল। তবে পরিষেবা আংশিক বন্ধের মাধ্যমে পুরো সুফল পাওয়া যাবে না। রেলের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াচ্ছে এটা বুঝতে পেরে ইতিধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছেন, দয়া করে ট্রেনে-বাসে ভ্রমণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা করবে না। ফলে ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ট্রেনও যে ব্যবহৃত হচ্ছে তা এখন স্পষ্ট। যেহেতু রেল ভারতীয় যাতায়াত ব্যবস্থার মেরুদণ্ড, যেটাকে জীবাণু মুক্ত করাই এখন সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।