ডেস্ক: সময় যত এগিয়ে চলেছে, আমেরিকা-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক যেন আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এবার আর ‘বুড়ো ভাম’ বা ‘মোটা বাঁদর’ নয়, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরকারি ‘পাগল কুকুর’ বলে বলে সম্বোধন করলেন উত্তর কোরিয়ার একছত্র অধিপতি কিম জং উন।
একদিকে কানাডায় যখন ভারত, আমেরিকা সহ বাকি দেশের প্রতিনিধিরা কোরিয়া সংকট ঘোঁচাতে ব্যস্ত রয়েছে। ঠিক সেই সময় কিমের এমন বক্তব্য কোনও ভাবেই শান্তি যে স্থাপনের উদ্দেশ্যে না, তা হলফ করেই বলা যায়। ট্রাম্প-কিমের নিউক্লিয়ার তরজার মধ্যে ‘পাগল কুকুর’ উপাধি ফের একবার যুদ্ধের আগুন জ্বালানোর কাজ করবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বর্ষবরণের দিন কিম জানিয়েছিলেন তাঁর টেবিলেই নাকি পরমাণু বোমার বোতাম থাকে। কিমের এই শাসানির উত্তরে এক’পা এগিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন যে তাঁর টেবিলের পরমাণু বোমার বোতাম আরও বড়, এবং তা কাজও করে।
দুই দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের এই বাক যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া থেকে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রপতির হুমকি ‘মানসিক অবসাদগ্রস্থের বিলাপ’ ও ‘পাগল কুকুরের চিৎকার’-এর মতো।
অন্যদিকে, শীতকালীন অলিম্পিক নিয়ে অনেক জলঘোলা হওয়ার পর কিম দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হন। এরফলে আন্তর্জাতিক স্তরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা বিরোধিতা কিছুটা কম হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফের উস্কানি দেওয়ার ফলে সেই আশা কার্যত ‘সে গুড়ে বালি’। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্টও যে চুপ থাকবেন না, তা ধরেই নেওয়া যায়। ফলে ট্রাম্প-কিম বাক্য যুদ্ধ ফের একবার গতিপ্রাপ্ত হল কিমের এই মন্তব্যে।