ডেস্ক: হকির ময়দানে উজ্বল নক্ষত্র বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই ছিলেন লেসলি ওয়াল্টার ক্লডিয়াস। বাঙালির রক্ত গায়ে না থাকলেও নাম ও যশ সবকিছুই এসেছিল বাংলার ময়দানে হকি খেলে। ভারতীয় হকির সচিন তেন্ডুলকর ‘ধ্যানচাঁদ’ তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘হকির চড়ুইপাখি’। কারণ, মাঠে বল যেখানেই থাকুক না কেন চড়ুইপাখির মতো ফুড়ুৎ করে তিনি সেখানে পৌঁছে যেতেন। এতটাই ছিল তাঁর ক্ষিপ্রতা। তখনকার সময়ে শারীরিকভাবে এতটাই ফিট ছিলেন তিনি।
অলিম্পিকে ৪টা পদক, তারমধ্যে ৩টি পদকই সোনার। এমন সোনার অ্যাচিভমেন্ট তাঁর ঝুলিতে ছিল যা রীতিমতো ঈর্ষা করার মতো। টানা চারটে অলিম্পিক হকি থেকে ক্লডিয়াসের পদক জেতাটা আজও বিশ্বরেকর্ড। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও যার উল্লেখ আছে। ১৯৭১ সালে তাঁর মুকুটে যোগ হয় পদ্মশ্রী সম্মানও।
আশ্চর্যজনকভাবে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে এক অদ্ভুত যোগসূত্র ছিল তাঁর। খড়গপুরের সেরসা স্টেডিয়াম যেখানে রেলওয়ের হয়ে ক্যাপ্টেন কুলের অভিষেক হয়েছিল, সেই মাঠেই। ছোটবেলায় বিলাসপুরে মামাবাড়ি থেকে কলকাতায় আসার পরই তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেন মিশে গিয়েছিল বাঙালিয়ানা।
হকি তাঁকে পরিচিতি দিলেও প্রথমে ফুটবল খেলতেই বেশি পছন্দ করতে ক্লডিয়াস। কিন্তু এখানের গল্পটাও যেন ধোনির সঙ্গে মিলিয়ে দেন তাঁকে। দলে একজন প্লেয়ার কম পড়ায় খেলতে বলা হয়েছিল তাঁকে। হকি স্টিক নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনিও নেমে পড়েন ময়দানে। তারপর থেকে ফিরে তাকাতে হয়নি ক্লডিয়াসকে। হকিকেই আপন করে নেন তিনি। ৫০-এর দশকে হকির ময়দানে অন্যতম তাঁকে সেরা বললে হয়তো ভুল বলা হবেনা।