ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে নতুনভাবে তৈরি হয়েছে প্রবল অনিশ্চয়তা৷ হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে মনোনয়নের জন্য বাড়তি একদিন ধার্য করছে নির্বাচন কমিশন৷ এবং এদিনই প্রথমে সর্বদল ও পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন নির্ঘন্ট প্রকাশ করার কথা কমিশনের৷ কিন্তু সোমবারকে মনোনময়নকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে অশান্তির খবর আসছে, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নতুন করে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করেছে রাজনৈতিক মহল৷ কারণ, নির্বিঘ্নে মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে যেমন সংশয়ে রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে, ঠিক একইভাবে ভোটের দিনগুলিতে আরও ব্যাপক অশান্তির আশঙ্কা করছে তারা। সেক্ষেত্রে ফের হাইকোর্টে যাওয়ার রাস্তা খুলে রাখছে বিজেপি, কংগ্রেস, বাম-সহ বিভিন্ন রাজন্যতিক দলগুলি।
হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার বেলা ১১টা থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। বিকেল ৩টে পর্যন্ত এই মনোনয়ন জমা নেওয়ার পর্ব চলেছে প্রতিটি জেলায়৷ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জন্য বিডিও অফিস এবং জেলা পরিষদের জন্য মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছে৷ মনোনয়ন জমা সুনিশ্চিত করতে জেলায় জেলায় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে কমিশন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে বীরভূম-বর্ধমান-মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে বাঁকুড়া উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিভিন্ন অঞ্চলে৷ ফলে এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে বিরোধীরা এবার যদি নিরাপত্তা ইস্যুতে আধা সেনা নামিয়ে ভোটের আর্ঝি জানায়, তাহলে আইনি জটে ফের বিলম্ব হতে পারে পঞ্চায়েচ নির্বাচন৷
গত শনিবারই হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে মনোনয়নের জন্য সোমবার দিনটিকে বেছে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ ওই দিনই ভোট গ্রহণের জন্য নতুন করে নির্ঘন্ট প্রকাশের কথা থাকলেও, নির্বাচন কমিশন সেই জায়গা থেকে সরে আসে৷ এদিন মনোনয়ন পর্বে পরিস্থিতি দেখেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঠিক করতে চাইছে কমিশন। মনোনয়ন ঘিরে সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকালে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। এরপর কথা হবে রাজ্যের সঙ্গেও। সব দিক খতিয়ে দেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নতুন নির্ঘণ্ট ঠিক করবে কমিশন।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দু’দফায় ভোট গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে কমিশনকে। এক দফায় করলেও সমস্যা নেই রাজ্যের৷ কারণ, রাজ্য প্রশাসন চাইছে রমজান মাসের আগেই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে৷ সেক্ষেত্রে ১৪ ও ১৬ মে ভোটগ্রহণ চাইছে সরকার৷ ১৮ বা ১৯ মে গণনা চাইছে রাজ্য। রাজ্যের প্রস্তাবে কমিশনের সায় আছে বলেই জানা যাচ্ছে৷ তবে কমিশন সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছে।