ডেস্ক: রঙ কি কেবল গিরগিটি বদলায়? ভুল। পশুপাখি বাদ দিলে একটি এমন দেশও রয়েছে যারা গিরগিটির মতো রঙ বদল করে। নাম পাকিস্তান। নিজেদের দাবি থেকেই কয়েক দিনের মধ্যে কী ভাবে পাল্টি খাওয়া যায় সেই উদাহরণ পাকিস্তানের চেয়ে ভালো কোনও দেশ দিতে পারবে বলে মনে হয়না। কারণ পুলওয়ামা হামলার পর থেকে লাগাতার আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ায় জইশ প্রধান মাসুদ আজহার যে পাকিস্তানে রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছিল তারা। কিন্তু ৪৮ ঘন্টা যেতে না যেতেই ভোলবদল। এখন তাদের দাবি, মাসুদ আজহারের অস্তিত্ব নেই পাকিস্তানে।
খুব বেশিদিন হয়নি। বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের পর এক সাক্ষাৎকারে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি স্বীকার করে নেন, পাকিস্তানেই রয়েছে মাসুদ আজাহার। একই সঙ্গে কিডনির সমস্যায় ভুগে মাসুদের শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় বলে দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, পুলওয়ামা হামলার পরই এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে জইশ। পাক বিদেশমন্ত্রী জইশের অস্তিত্ব স্বীকার করে কার্যত আত্মঘাতী গোল দেওয়ার কাজ করেন। সেটা বুঝতে পেরেই নিজেদের দাবি থেকে সরে এলো পাকিস্তান। এখন তারা বলছে মাসুদ আজহার বা জইশের কোনও অস্তিত্বই নেই পাকিস্তানে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহিদ হন আধা সামরিক বাহিনীর ৪০ জন জওয়ান। কিন্তু এ হেন সন্ত্রাসবাদী হামলার পরও পাকিস্তান যেই তিমিরে ছিল ওই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে সেই প্রমাণ মিলল। একই সঙ্গে এটাও বোঝা গেল শান্তির যে কেবল মুখোশ পরা রয়েছে তাদের মুখে।পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বুধবার বলেন, প্রথমত পাকিস্তান থেকে পুলওয়ামাকাণ্ডে দায় স্বীকার করেনি জইশ। এদেশে তাদের অস্তিত্বই নেই। অথচ এই পাকিস্তান ৪৮ ঘন্টা আগেই গ্রেফতার করেছে মাসুদের ছেলে ও ভাইকে।
বস্তুত, জইশ প্রধান যে তাদের দেশেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে, তা স্বীকার করে নেওয়ার ফলে মহা ফাঁপরে পড়েছে পাকিস্তান। পরোক্ষে তাদের উপরই চাপ আসছে মাসুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। পাশাপাশি পাক প্রশাসন যে তাদের সেনাবাহিনী আইএসআই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, সেই সম্পর্কে কম বেশি জানা রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। ফলে পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য ঢাকতে সেনা প্রধানই নামলেন ময়দানে।