ডেস্ক: ধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনা দেশজুড়ে যেভাবে ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে আশঙ্কিত নাগরিক সমাজ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও তদন্ত চলছে তদন্তের মতো তবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া এই বিকৃত মানসিকতা কিভাবে নির্মূল হবে প্রশ্ন সেখানেই। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যখন গ্রেপ্তার হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগার, তখনই ধর্ষণ নিয়ে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপির আর এক বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং।
ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে জন্য এর আগেও সমালোচিত হয়েছিলেন এই বিধায়ক। দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত কাজের কারন হিসাবে ধর্ষিতার পরিবারকেই দোষী করলেন উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং। তার মতে, ‘দেশে এভাবে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারন ধর্ষিতার বাবা মায়েরা। বাবা মায়েরা তাঁদের সন্তানদের একলা ছেড়ে দিচ্ছেন। আর এই একলা ছেড়ে দেওয়ার ফলেই ঘটছে এই ধরনের কাজ।’ সুরেন্দ্রর মতে, ‘১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের উপর কড়া নজর রাখা উচিৎ অভিভাবকের। এটা তাঁদের দায়িত্ব। আর এর ফলেই শিশুদের বাঁচাতে পারবে তাঁর পরিবার।’ মেয়েদের অযথা স্বাধীনতা দেওয়া কখনই উচিৎ নয় বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ নিয়ে বলতে গিয়ে বিতর্কে জড়ানো এই বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্য এই প্রথমবার নয়। এর আগেও ধর্ষণ প্রেক্ষিতে নিজের মত দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তিন বাচ্চার মাকে কেউ ধর্ষণ করতে পারে না। আবার কখনও, ধর্ষণের পিছনে কারন হিসাবে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়ার জন্য পরিবারকে দোষারোপ করেছেন তিনি।