মহানগর ওয়েবডেস্ক: রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত ফের একবার চরমে উঠল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় উত্তরবঙ্গে সফরে থাকাকালীনই নতুন করে বিরোধ বাঁধল দুই পক্ষে। এদিন শিলিগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠলকে তৃণমূলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন না। সেই নিয়েই সাংবাদিকদের সামনে সামান্য উষ্মাপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘রাজ্যের ঈষদুষ্ণ ব্যবহার আমায় চিন্তায় ফেলেছে।’ যদিও এরপরই তিনি বলেন, ‘কে এলো না কে এল না তাতে আসে আমার কিছুই আসে যায় না।’ রাজ্যপালের এই মন্তব্যকেই নতুন করে নিশানায় নিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল মহাসচিবের বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক মন্তব্য করে রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিয়েছেন উনি নিরপেক্ষ নন। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য, কেন্দ্র সরকার নির্বাচিত। রাজ্যপাল মনোনীত, তিনি নির্বাচিত নন। প্রতিদিন রাজনৈতিক গিমিক বন্ধ করা উচিত।’ পার্থর আরও তোপ, ‘তিনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে অতি সক্রিয় হচ্ছেন। সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ ঠিক নয়।’ অন্যদিকে রাজ্যপাল এদিন স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি কেবল নিজের কাজ করছেন। এদিন মূলত যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি যাদবপুরের আচার্য। তাই আমি সে দিন ওখানে গিয়েছিলাম। রাজভবনের বর্ধিত অংশ হিসেবে সরকারের যা করার ছিল সেটা করা হয়নি বলেই আচার্য হিসেবে আমাকে যেতে হয়েছিল। আমার গাড়ি আটকানো হয়েছিল ঠিকই কিন্তু একজন আচার্য হিসাবে যে সম্মান পাওয়ার তা আমি পেয়েছি।’
মূলত রাজ্যপালের যাদবপুর সংক্রান্ত মন্তব্যই ফের একবার তাঁকে সরকারের নজরে তুলে এনেছে। ধনকড়ের কথায়, ‘আমি যখন রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েছিলাম তখন আমার হাতে একটা বই তুলে দেওয়া হয়, তা হল ভারতের সংবিধান। আমি যা করি তা সংবিধান মেনেই করি। আর আমি যদি সংবিধান থেকে বিচ্যুত হই তবে আপনারাই আমার বিরুদ্ধে বলবেন।’ ঘটনা হচ্ছে, উক্ত দিনে রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে মানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর কথা উপেক্ষা করেই বাবুল সুপ্রিয়কে ‘উদ্ধার’ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হাজির হন ধনকড়। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি রাজ্য সরকার। আর তারপর থেকেই নয়া রাজ্যপালের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়ায় শাসকদল। যা এদিন আরও বড় আকার ধারন করল বৈকি।