ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর, ২ মার্চ থেকে ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। এই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান ভাবে বেড়েছে হিংসার ঘটনা। বিরোধীরাও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে। তবে রাজ্যজুড়ে বিরোধীদের ক্রমবর্ধমান ভাবে বেড়ে চলা তৃণমূলী হিংসার অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্য বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘যেভাবে মিথ্যাচার, শাসানি ও টিভির তলায় কূবাক্য চালানো হচ্ছে তার কোনও সত্যতা নেই। যদি বর্তমান হিসাব অনুযায়ী দেখা যায় তবে ১৬১৪ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল। ১১৪৩ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিজেপি, ৩৫১ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে সিপিএম, ও ১২৭ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে কংগ্রেস। এবং ২০০ টির মতো মনোনয়ন জমা দিয়েছে নির্দল। তৃণমূল যদি মনোনয়নে বাধা দিত তাহলে এটা হত না।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষকে মিথ্যা দিয়ে প্রভাবিত করার জন্য মিথ্যাচার করছে বিজেপি। যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন আগে একেবারে ধোঁয়া তুলসীপাতা হয়েছিল। রাজভবনে যেভাবে বিজেপি অতিসস্ক্রিয়তা দেখাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে রাজভবনের ছাতার তলায় আশ্রয়ের চেষ্টা করছে ওঁরা।’ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষএর নাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ যেভাবে মারের বদলে মার, শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন, এই ধরনের কূকথার বিরুদ্ধে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করব।’ রায়গঞ্জ ইস্যুতেও বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘রায়গঞ্জে বহিরাহত এনে আগে থেকে অশান্তির জন্য লুকিয়ে রেখেছিল ওরা। এইসব করা হচ্ছে তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য।’
শুধু বিজেপির নয় এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকেও আক্রমণ করেন পার্থবাবু। তাঁর কথায়, ‘অন্যদের সঙ্গে কথা না বলে যেভাবে রাজভবন চলছে তাতে মনে হচ্ছে কোনও দলের শাখা সংগঠন হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। এভাবে যদি চলে তাহলে গণতন্ত্র সোজা পথে চলতে পারে না।’ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্যের পর এদিনই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।