ডেস্ক: প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিওচ্যাট করতে বসেছিলেন যুবক। ভালই চলছিল দুজনের প্রেমপর্ব। কিন্তু হঠাৎ কথা কাটাকাটি, তারপর বচসা, আর তারপরই আচমকা পিস্তল বের করে মাথায় ঠেকিয়ে টিপে দিলেন ট্রিগার। বিছানা ভেসে গেল রক্তে, মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেল সবকিছু। গতকাল এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের রাজধানী পাটনায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম আকাশ (২০)। গতকাল রাত তিনটে নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। গত বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল হওয়ার জন্য মানসিক চাপও ছিল তাঁর উপর। গভীর রাতে তিনি যখন বাড়িতে একা ছিলেন তখন প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিও চ্যাট শুরু করেন। কিন্তু চ্যাট চলাকালীন প্রেমিকার সঙ্গে কোনও কারণে বচসা শুরু হয় তাঁর। এরপরই লাইভ ভিডিওর মধ্যেই একটি সেমি অটোমেটিক দেশি পিস্তল বার করেন। পিস্তল দেখে আকাশের প্রেমিকা তাঁকে বারবার বলেন পিস্তলটি ঢুকিয়ে রাখতে। কিন্তু সেসব কথায় কর্ণপাত না করে ট্রিগার টেনে দেন আকাশ। প্রেমিকার বয়ান থেকে ঘটনার পুনর্নিমান করে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
চ্যাট চলাকালীন মাথায় গুলি চালানোর দৃশ্য দেখে আকাশের এক আত্মীয়কে ফোন করেন তাঁর প্রেমিকা। ভোর পাঁচটা নাগাদ সেই আত্মীয় কোনওভাবে বাড়ির ছাদ দিয়ে আকাশের বাড়িতে ঢোকেন। পরিস্থিতি দেখে খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৯ এমএম পিস্তল, লোডেড ম্যাগাজিন ও পেলেট। কম বয়েসি যুবকের কাছে লোডেড ম্যাগাজিন সহ ৯ এমএম পিস্তল কীভাবে এলো এই নিয়েও দ্বন্দ্বে পুলিশ।
ডেপুটি পুলিশ সুপার রমাকান্ত প্রসাদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ প্রেমিকার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও চ্যাট করছিল আকাশ। নিজের মাথায় গুলি করার ভিডিও লাইভস্ট্রিম করে প্রেমিকাকে। ওর প্রেমিকা বলেছে, ওদের মধ্যে অনেকক্ষণ ধরে ঝামেলা চলছিল।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের মারফৎ জানা গিয়েছে, গত একবছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আকাশের। আকাশ চাইতেন বিয়ে করতে, কিন্তু প্রেমিকা এখনও গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনায় ছিলেন না। এই নিয়ে প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকতো। সম্ভবত এই প্রসঙ্গে বচসা হওয়ার ফলেই নিজের প্রাণ কেড়ে নেয় ওই যুবক। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, আকাশের বাবা তাঁর প্রেমের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন, এ জন্য ছেলেকে বকাবকিও করেন তিনি। আকাশ বিষয়টি বান্ধবীকে জানিয়ে বলেন, ভিডিও