নিজস্ব প্রতবেদক, জলপাইগুড়ি: দুরদুরান্ত থেকে আসছে ফোনে শুভেচ্ছা, ফুল মিষ্টি নিয়েও ভিন রাজ্য থেকেও মানুষ হাজির অনন্তর বাড়িতে। এক রাতেই প্রায় সেলিব্রেটি হওয়ার উপক্রম ধূপগুড়ির প্রেমের রোমিও অনন্ত বর্মন। রবিবার বিকালে ধুপগুড়ি পুরসভার চাকলাপাড়া এলাকায় নিজের ভালোবাসা ফিরে চেয়ে ধর্নায় বসেছিল এই যুবক। টানা ২৪ ঘন্টার পর অবশেষে ধর্নাই তার কাছে এনে দিল তার ভালোবাসাকে।
সোমবার রাতে ধূপগুড়ি হাসপাতাল পাড়া এলাকায় ভাণ্ডানী মন্দিরে বিয়ে সারে অনন্ত-লিপিকা। এরপর সোমবার রাতে অনন্তর প্রেমিকা লিপিকার বিয়েতে সন্মতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনন্ত বাড়িতে ভিড় জমায় ভিন রাজ্য এবং ভিন জেলার সহ জলপাইগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। কেউ ফুলের তোড়া আবার কেউ মিষ্টির হাড়ি নিয়ে পৌছে যান অনন্তর বাড়িতে। একের পর এক শুভেচ্ছা আসতে শুরু করে ফেসবুক এবং ওয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে। ফোন নম্বর যোগাড় করে দুজনকে আগামী দিনে ভালো থাকার, এগিয়ে যাওয়ার শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সোমবার রাতেই আলিপুরদুয়ার এবং অসম থেকে দলে বেধে গাড়ি নিয়ে বেশ কয়েকজন মিষ্টি এবং ফুল নিয়ে নব দম্পতিকে দেখতে আসেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি এবং কোচবিহার থেকে দল বেধে লোকজন আসেন। উপহার স্বরুপ ফুল দিয়ে দুজনকেই আর্শীবাদ করে যান তারা। দেখা করতে আসা সকলেরই বক্তব্য অবশেষে ভালোবাসার জয় দেখে খুব ভালো লাগছে।
কোচবিহারের বাসিন্দা গোপাল সরকার বলেন, ভালোবাসার জয় হল এটা খুব ভালো লাগছে। ভালোবাসা ভগবানের দান, তাই পূর্ণ রুপ পেল। এটা যদি মানুষের সৃষ্টি হত তাহলে ধর্না মঞ্চেই শেষ হয়ে যেত। অনন্তর ভালোবাসার পরীক্ষা হয়েছে। অনন্ত মেয়েটিকে খুব ভালোবাসে এবং খুব ভালো রাখবে। দিকে অনন্তর কথায় মানুষ আমাকে দেখতে আসছে। আমাদের ভালোবাসার জন্য আসছে। আমি লিপিকার জন্য যেকোনও কাজ করব, ভালো রাখব। তবে কোনও কাজে লিপিকা যাতে আঘাত না পায় তা খেয়াল রাখব বলে জানায় অনন্ত।