ডেস্ক: বিজয় মালিয়া দেশ ছাড়ার পর, ঋন খেলাপির অভিযোগ উঠেছে একের পর এক জালিয়াত শিল্পপতির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিরোধীদের চাপে কিছুটা হলেও কোনঠাসা মোদী সরকার। এরই মাঝে মোদীর মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের নাম জড়াল ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে। যে সংস্থার বিরুদ্ধে এই বিপুল পরিমান ঋণ খেলাপির অভিযোগ তার তৎকালীন ডিরেক্টর ছিলেন, দেশের মাননীয় রেলমন্ত্রী।
সম্প্রতি দ্য ওয়্যার সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঋণ খেলাপির এক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে পীযূষ গোয়েল ও তাঁর পরিবারের। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মুম্বইয়ের ল্যামিনেটস প্রস্তুতকারী সংস্থা শিরডি ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১০ সালে যে সংস্থাকে বাণিজ্যিক বিশ্লেষক ও পরামর্শদাতা ক্রিসিল ‘লাল পতাকা’ দেখায়, সেই সময়ে সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন বর্তমান মোদীর মন্ত্রীসভার অন্যতম সদস্য পীযূষ গোয়েল। জানা গিয়েছে, ওই সময় যখন শিরডি ইন্ডাস্ট্রিজ ঋণের দায়ে জর্জরিত তখন পীযূষ গোয়েলের স্ত্রী সীমা গোয়েল ইন্টারকন অ্যাডভাইজার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থা খুলে ঋণের পরিমান আরও বাড়িয়ে নেন।
২০১৬ সালে জমা করা রিপোর্টে শিরডি ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তাদের অধীনে আরও একটি সংস্থা অ্যাসিস ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ১.৫৯ কোটি টাকা আউটস্ট্যান্ডিং রয়েছে। অন্যদিকে, প্রভিডেন্টফান্ডে ৪ কোটি টাকা অর্থ খেলাপির অভিযোগ ওঠে। সেই সমস্ত টাকা এখনও পরিশোধ করেনি শিরডি ইন্ডাস্ট্রি। শিরডি কোম্পানির বিরুদ্ধে যে যে কোম্পানির বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ উঠেছে সেগুলি হল, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইউকো ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, স্ট্যান্ডার চ্যার্টারড ব্যাঙ্ক।