মহানগর ওয়েবডেস্ক: ‘ভারতীয় কেন কোনও দেশের রাষ্ট্রনায়ক এযাবৎ কাল কখনও অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে খোলাখুলি প্রচার করেন না৷ এটা অভাবনীয়৷ এতে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ওপর গভীর প্রভাব পড়বে৷’ অভিযোগ কংগ্রেসের৷ উল্লেখ্য রবিবার হাউস্টেন ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’৷ ৫০ হাজার ইন্দো-আমেরিকান সহ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে প্রকাশ্যে এমন কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সোমবার তাঁর এ হেন ভাষণের কড়া প্রতিবাদ করেছে ভারতের অন্যতম বিরোধী দল কংগ্রেস৷
হাউস্টেন ঐতিহাসিক সভা শেষ করে রবিবার রাতেই নিউইয়র্কে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তিনি রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেবেন। এই সভার হবে রাষ্ট্রসংঘের সচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। প্রথম পর্বেই এই বৈঠকে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপর এদিন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদীর। তারপর রাষ্ট্রসংঘের সদস্য বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র আয়োজিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ও তার মোকাবিলা সংক্রান্ত বৈঠকেও যোগ দেবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরের মার্কিন নির্বাচনের পরও প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী মোদী। রবিবার হিউস্টনে তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, ‘অব কী বার, ট্রাম্প সরকার’। এনআরজি স্টেডিয়ামে একত্রিত বিপুল সংখ্যক দর্শকের উদ্দেশে মোদী আরও বলেন, তিনি ট্রাম্পের ‘নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, আমেরিকার জন্য উদ্দীপনা, প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের জন্য চিন্তা, এবং আমেরিকাকে আরও একবার স্বমহিমায় উজ্জ্বল করার দৃঢ় প্রত্যয়ের’ জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করেন।প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস। দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি মনে করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের পররাষ্ট্র নীতির উপর আঘাত। বেশ কয়েকটি ট্যুইটে কংগ্রেসের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা জানান, মোদী ‘অব কী বার, ট্রাম্প সরকার’ মন্তব্য করে সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। যা ভারতের পররাষ্ট্র নীতি মেনে কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়। এই মন্তব্যর ফলে দেশের দীর্ঘমেয়াদী পররাষ্ট্র নীতির ক্ষতি হতে পারে। তবে রাষ্ট্রনায়ক হয়ে অন্য দেশের ভেতরের বিষয়ে বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে এ হেন মন্তব্য কী করতে পারেন? মোদীর এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস৷