ডেস্ক: রামনবমী পেরিয়ে যাবার ২৪ ঘণ্টা পরেও বিন্দুমাত্র আঁচ কমল না বাংলার রাজনীতিতে। এবার সেই রাজনীতির বলি হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্দ্ধমান জেলার আসানসোল সদর মহকুমার রানীগঞ্জ। সোমবার সেখানে প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে মিছিল বের করেছিল এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। মিছিলটি সংখ্যালঘু এলাকার ভেতর দিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সেখানকার বাসিন্দারা তাতে তীব্র আপত্তি জানান। তারা মিছিল অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তাতে পাল্টা আপত্তি তোলেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। তারা জোর করে সংখ্যালঘু এলাকা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে শহরের আরও বেশ কিছু এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। ভাঙচুর হয় বেশ কিছু বাড়ি। আগুন ধরিয়ে দেওয়াও হয় বেশ কিছু দোকান ও বাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নামে পুলিশ ও র্যাফ। সেখানেই ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি হেড কোয়ার্টার অরিন্দম দত্ত চৌধুরী। উত্তেজিত জনতাকে পুলিশবাহিনী সরাতে গেলে তারা পাল্টা পুলিশকে আক্রমণ করেন। তাদের ওপর ইটবৃষ্টিও করা হয়। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত জনতার ওপর। সেই সময়ই কেউ বা কারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে যা অরিন্দমবাবুর হাতে লাগে। সেই বোমার আঘাতেই তার ডান হাত উড়ে যায়। ঘটনার জেরে তার আশেপাশে থাকা আরও বেশ কিছু পুলিশকর্মী জখম হন। দ্রুত তাদের সকলকেই আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অরিন্দমবাবুকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা রীতিমত আশঙ্কাজনক।