নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘প্রয়োজনে ভাবনা-চিন্তা করে নতুনদের দলে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু দলত্যাগীদের কোনও ভাবেই আর তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।‘ সোমবার পুড়শুড়ার জনসভা থেকে দলের বেসুরো নেতাদের পাশাপাশি যারা দলত্যাগ করেছেন তাদের উদ্দেশে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরও তৃণমূলে বেসুরো নেতাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল হুগলির উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের নাম। নিজের জেলায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তিনি হাজির ছিলেন না। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে সব মহলে। গুঞ্জন চলছে তা হলে কি তিনি দলবদল করতে চলেছেন? তবে এবিষয়ে এখনও তিনি খোলসা করে কিছু বলেননি। শুধু জানিয়েছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি নিজের অবস্থান জানাবেন।
বেশ কিছুদিন ধরে একটু ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছিল প্রবীর ঘোষালের গলায়। যার ফলে অস্বস্তি বাড়ছিল তৃণমূলের। কয়েকদিন আগেই প্রবীর ঘোষাল বলেছিলেন, তাকে পরিকল্পনা করে নির্বাচনে হারানোর চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বারবার জানানো সত্ত্বেও কোন্নগরের একটি রাস্তা মেরামতের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি তার দলের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। যে রাস্তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর সেই ক্ষোভের কারণে পরবর্তীতে তিনি উত্তরপাড়ায় দাঁড়ালে হয়তো হারতে হতে পারে। আর এই কাজটি দলের একাংশ পরিকল্পিত ভাবে করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন প্রবীর ঘোষাল। এইসব বিষয় নিয়ে ইদানীং জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তার মতান্তর হচ্ছিল। বেশ কিছু সময় তিনি এমন নানা কথা বলেন, যাতে অস্বস্তিতে পড়ে দল।
এরপর আজ সোমবার হুগলির পুড়শুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জনসভায় তিনি হাজির হবেন কিনা, সেদিকে নজর ছিল সবার। কিন্তু দেখা গেল তিনি এই সভায় যোগ দেননি। যা নিয়ে জেলা রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, এবার হয়তো গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন প্রবীর ঘোষাল। যদিও এখনও তিনি এ প্রসঙ্গে কোনও কিছু বলেননি। শুধু জানিয়েছেন আগামীকাল মঙ্গলবার তার নিজের অবস্থান কী, তা তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাবেন।