মহানগর ওয়েবডেস্ক: ‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই বিপর্যস্ত যে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীও এই রাজ্যে সুরক্ষিত না। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ব্যবহার আন্তরিক করা উচিত ছিল। আজকের যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। একদিকে যেমন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন, অপরদিকে, বিজেপি শিবিরের জন্যও কটাক্ষ রইল তাঁর।
সোমেন মিত্রের কথায়, ‘কোন অবস্থাতেই ছাত্রদের ওপর মন্ত্রীর দেহরক্ষীদের এবং পুলিশি-ব্যবহার সমর্থন যোগ্য না। প্রদেশ কংগ্রেস চায় খুব তাড়াতাড়ি যাদবপুর ক্যাম্পাসে শান্তি ফিরুক। ছাত্র সংসদের অফিস ভাঙচুরের আমরা তীব্র নিন্দা করছি।’ এভিবিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয়র আসাকে কেন্দ্র কে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে হয় বিক্ষোভ, দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি বাবুলের জামাও ছেঁড়ে। এই পরিস্থিতিতে বাবুল এই গোটা ঘটনার জন্য সরাসরি আঙুল তুলেছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের দিকেই। বলেছেন, ‘আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? আমি যখন এলাম, তখন আপনি আসেননি কেন? আপনি এলে এটা ঘটত না।’
আবার, বাবুলকে কেন আটক করা হল সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবিভিপি ও দুর্গাবাহিনীর সমর্থকরা ‘তাণ্ডব’ করেছে ক্যাম্পাসজুড়ে। মাথায় হেলমেট পড়ে তারা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনার আগে অবশ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। তবে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে না দিতে অনড়ই রয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ইস্তফা দিতে হলেও দেবেন, কিন্তু ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে দেবেন না।