নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘যার ইচ্ছে বিজেপিতে চলে যাক, যার ইচ্ছে বিজেপিতে জয়েন করুক। আমি মোহনবাগানে খেলি, খিদিরপুরে যাব না। তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আগামী মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কাজের নিরিখে প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রাখছেন। যারা দল থেকে চলে গিয়েছেন, তাদের জন্য মানুষ বিরক্ত। যে যায় যাবে। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। কাউকে ধরে রাখা যাবে না। কিন্তু এই দুঃসময়ে না যাওয়াই উচিত।‘ বৃহস্পতিবার হাওড়ায় শ্রমিক মেলার উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের একজনই রথী-মহারথী। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কেউ রথী-মহারথী নেই দলে। সবাই সমান আমরা। তিনি চলে গেলেই আমাদের চিন্তা হবে। তিনি না গেলে আমাদের কোনও চিন্তা নেই।‘ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে প্রসূনবাবু বলেন, ‘শুভেন্দু বাচ্চা ছেলে। এই বয়সে ওর রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। রাজনীতি চালিয়ে যাক। তবে শুভেন্দু কথায় কিছু হবে না। কিছু কিছু অন্যায় করছে বিজেপি। এতে ওদের দলের ক্ষতি হচ্ছে।‘ এদিন প্রসূনবাবু আরও বলেন, ‘আমি কোথায় বললাম চলে যাব? আমি খেলি তো মোহনবাগানে, কেন খিদিরপুরে যাব?”
অন্যদিকে, এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের শ্রম দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ নির্মল মাঝি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “ওরা (বিজেপি) পাঁচ বছর কোনও কাজ করল না। এখন নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই কুহু কুহু করে বসন্তের কোকিলের মতো ছুটে এসেছে। মানুষ এদের বর্জন করবে। যারা পরিচয়টা জোগাড় করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে, তৃণমূলে থেকে যারা অসৎ উপায়ে উপার্জন করেছে, যারা বিভিন্ন রকম অনিয়ম-অনাচার করেছে, মানুষ তাদের জঞ্জালের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিত। তারাই এখন মণিমাণিক্য, মুক্তোর মতো ভারতীয় জঞ্জাল পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছেন।‘