মহানগর ডেস্ক: বিধানসভায় আস্থা ভোটে হেরে কংগ্রেস সরকারের পতনের পর গতকাল পুদুচেরিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তাতে সায় দিলেন রাষ্ট্রপতি। পুদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনের আড়াই মাস আগেই জারি হলো রাষ্ট্রপতি শাসন।
তবে কংগ্রেস সরকারের পতনের পর সরকার গঠনের জন্য বিজেপি ও তার শরিকরা আর্জি জানাতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল কিছুদিন ধরেই। কিন্তু সরকার গঠন এগিয়ে আসেনি তারা। নির্বাচনের আগে বিজেপির এহেন সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে খুব বড় অঘটন না ঘটলে এনআর কংগ্রেস, এডিএমকে, এবং বিজেপি জোটের জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি থেকে একের পর এক কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই পুদুচেরি বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পরে কংগ্রেস। গত সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানে ব্যর্থ হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তবে কংগ্রেস বিধায়কদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ঘোড়া কেনাবেচার’ অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে, তাঁদের ‘সুবিধাবাদী’ বলেও তোপ দাগেন তিনি। অন্যদিকে সদ্য প্রাক্তন উপরাজ্যাপাল কিরণ বেদীর বিরুদ্ধেও অভিযোগের সুর চড়ান নারায়ণস্বামী। তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজকর্মে বাধা দিতেন বেদী।’
তবে পুদুচেরিতে সরকার পতনের কারণ হিসেবে অনেকেই দায়ী করছেন কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্বকে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, গত জানুয়ারি থেকেই একের পর এক বিধায়কের পদত্যাগের পরেও কেন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলেন না শীর্ষ নেতৃত্ব ? কেন আরও আগে পুদুচেরি গেলেন না রাহুল গান্ধী ?