নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্যারাকপুর: কানে হেডফোন। চারবন্ধু মিলে গান শুনতে শুনতে গোটা রাস্তা জুড়ে যাচ্ছিল। পেছনে বালি বোঝাই গাড়িটি রাস্তা থেকে সরতে বলে বারে বারে হর্ন বাজিয়েছিল। তবুও সরেনি ওই চার বন্ধু। গাড়ির চালক ও খালাসি প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে ওই চার সাইকেল আরোহী। পরে পেট্রোল পাম্পের কাছে তারা গাড়ি থামালে ওই চার যুবক খালাসি ও চালককে মারধর করে বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় এক মহিলা ঝামেলা থামাতে এলে তাকেও তার গায়েও হাত তোলে ওই চার যুবক এমনটাই অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়ার দেশবন্ধুপার্কে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল দশটা ত্রিশ নাগাদ চার বন্ধু মিলে সাইকেল করে হেডফোন কানে দিয়ে গান শুনতে শুনতে গোটা রাস্তা জুড়ে যাবার সময়, পেছন দিক থেকে একটি বালির লরি তাদেরকে ওভারটেক করার জন্য বারংবাডর হর্ন বাজাতে থাকে। তা সত্বেও কোনওরকমেই রাস্তা ছাড়তে চাননি হেডফোন কানে দেওয়া সাইকেল আরোহীরা।
লরি থেকে খালাসি নেমে প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো লড়ির খালাসির ওপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। অভিযোগ, এরপর যখন লরিটি হাবড়া পরিয়াল পেট্রোল পাম্পে তেল ভাড়ার জন্য দাঁড় করানো হয়, তখন আচমকাই ওই চার সাইকেল আরোহী যুবক লরির খালাসি তারক সেন ও খালাসি দীপঙ্কর সিকদারকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা রেনু কর্মকার ঝামেলা থামাতে এলে তাকেও মারধর করে যুবকরা। স্থানীয় দোকানদারদের তৎপরতায় আহতদের হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুরুতর জখম তারক সেনের মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে,আহত তিনজনের বাড়ি হাবড়ার দুই নম্বর রেলগেট সংলগ্ন নেহেরুবাগ রেলকলোনির বটতলা এলাকায়। আহতদের পরিবারের তরফ থেকে হাবড়া থানায় অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। হাবড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই গৌতম শিং, বিকি রাজ বংশী ও পবন রাজ বংশী নামে তিন যুবককে আটক করে। তবে এখনও এক যুবক অধরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিন যুবকের বাড়ি হাবড়ার বানীপুর এলাকায়। ঘটনার তদন্তে হাবড়া থানার পুলিস।