Highlights
- ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা
- বর্ষপূর্তিতে দাঁড়িয়ে শহিদ পরিবারের যে ছবি সামনে এল তা নিশ্চিতভাবে উদ্বেগের
- অভাবের তাড়নায় সবজি বিক্রির পথ বেছে নিয়েছে ঝাড়খন্ডের এক শহিদ সেনা জওয়ানের স্ত্রী
মহানগর ওয়েবডেস্ক: ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল ৪০ সেনা জওয়ানের শরীর। নারকীয় সেই হত্যাকাণ্ডে শহিদের রক্তের বদলা চেয়ে সরব হয়েছিল দেশ। বদলাও হয়েছিল। শহিদ পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস এসেছিল দেশের বিভিন্ন মহল থেকে। তবে সেই ঘটনার বর্ষপূর্তিতে দাঁড়িয়ে শহিদ পরিবারের যে ছবি সামনে এল তা নিশ্চিতভাবে উদ্বেগের। না, ভুরি ভুরি আশ্বাস আসলেও সাহায্য আসেনি। অভাবের তাড়নায় তাই সবজি বিক্রির পথ বেছে নিয়েছে ঝাড়খন্ডের এক শহিদ সেনা জওয়ানের স্ত্রী। শুক্রবার তেমনই এক ছবি ভাইরাল হতে ওই শহিদ জওয়ানের স্ত্রীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল ঝাড়খণ্ডে সদ্য ক্ষমতায় হেমন্ত সোরেন সরকার।
আরও পড়ুন: শুধুই আশ্বাস, অর্থের অভাবে পড়াশুনা বন্ধের জোগাড় পুলওয়ামায় শহিদ সেনার সন্তানদের
সম্প্রতি যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পুলওয়ামা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এক শহিদ জওয়ানের স্ত্রী ঝাড়খণ্ডের সিমড়েগা বাজারে সবজি বিক্রি করছেন। কোনও এক সহৃদয় ব্যক্তি ক্যামেরাবন্দি করেন সেই ছবি। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম বিমলা দেবী। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে শহিদ হয়েছিলেন তাঁর স্বামী বিজয় সোরেং। এরপর অবশ্য আশ্বাস এসেছিল কিন্তু সাহায্য আসেনি। অর্থের অভাবে পরিবারের পেট ভরাতে বাধ্য হয়েই সবজি বিক্রির পথ বেছে নেন তিনি। এই ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই তা নজরে আসে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। তড়িঘড়ি ওই শহিদ পত্নিকে সাহায্যের হাত বাড়ান তিনি। সিমড়েগা জেলা প্রশাসনকে তিনি নির্দেশ অবিলম্বে ওই মহিলাকে সমস্ত রকম সরকারি সাহায্য দেওয়ার জন্য। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় জেলাশাসক।
এরপরই ওই শহিদ পত্নির বাড়িতে হাজির হন সরকারি দফতরের আধিকারিক ও জেলা নেতৃত্বরা। যথা সম্ভব সাহায্য ওই পরিবারকে করা হবে বলে জানান তারা। প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর শহিদ বিজয় সোরেংয়ের কথা বলতে গিয়ে অনেক খানি সময় ব্যয় করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তাঁর দাবি ছিল শহিদ কখনও মরে না। তারা মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকে। তাঁরা স্বর্গের অধিকারী হয়। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি ছিল, বিজয় সোরেংয়ের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে এক বছর পর সে প্রতিশ্রুতি যে সরকার পালন করেনি তা বলাই বাহুল্য।