নিজস্ব প্রতিবেদক,বারুইপুর: আতসবাজি দিতে অস্বীকার করায় বন্ধুকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিল অপর চার বন্ধু৷ অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার বলাখালি মেথুর মোড় এলাকায়। মাবুদ শেখ,আলফাজ শেখ, আসগর শেখ এবং ফারুক শেখ নামে চার নাবালক বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবার। অভিযুক্তদের তিন জনের বয়স ১৮ এবং এক জনের ১৪। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবেবরাতের দিন পাঁচ বন্ধু মিলে আতসবাজি পোড়াচ্ছিল৷ তার মধ্যে শামিম সেখ চার বন্ধুকে আতসবাজি দিতে অস্বীকার করে৷ তা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে বচসা শুরু হয়৷ বচসা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে গিয়ে পৌঁছয়৷ অভিযোগ, এরপরই বাকি চার বন্ধু শামিমকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে৷ শামিম অচৈতন্য হয়ে পড়লে বাকি চার বন্ধু তাকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেয়৷ রক্তাক্ত অবস্থায় বছর তেরোর ওই আহত নাবালককে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির সদস্য ও প্রতিবেশীরা। শামিমের নাক, মাথা থেকে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় আমতলা গ্রামিন হাসপাতাল থেকে তাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শামিমের বাবা জামির শেখ জানান, ২ মে রাতে শামিম চার বন্ধুকে নিয়ে আতসবাজি ফাটাচ্ছিল , প্রথমে ১ প্যাকেট চকোলেট বোমা শামিমের কাছ থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয় চার বন্ধু৷ সেই বাজি ফাটানোর পর তারা শামিমের কাছে আরও বাজি দাবি করে। শামিম জানায়, তার কাছে আর বাজি নেই৷ এরপর চার বন্ধু তাকে চড়-থাপ্পড় মারে৷ কিছুক্ষণ পর তাকে বাঁশ দিয়ে পেটালে তার নাক, মাথা ফেটে যায় । শামিম অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে পালায় বন্ধুরা৷ রক্তাক্ত অবস্থায় সারা রাত সে সেখানেই পড়ে ছিল৷ পরদিন সকালে হুঁশ ফিরলে সে কোনওরকমে বাড়িতে এসে মায়ের কোলে লুটিয়ে পড়ে৷ এরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ শামিমের মা জানান, ‘এর আগেও একবার মাবুদ ও আলফাজ আমার ছেলেকে ব্যাপক মারধর করেছিল। ওদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’