Highlights
|
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। নেওয়া হয়েছে বহু সতর্কতা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিকেও করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাওড়াতেও সত্যবালা আইডি হাসপাতালকে বুধবার থেকে পুরোপুরি করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি হাওড়া জেলা প্রশাসন ও হাওড়া পুরসভার যৌথ উদ্যোগে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সেখানে আজ থেকে ১৫০ বেডের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। এরজন্য গত কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সেখানে বেড-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে গিয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের যে ঘর রয়েছে, সেখানেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরের অংশ জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পানীয় জল ও শৌচাগারের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে এখানে।
অন্যদিকে, করোনার ব্যাপক প্রভাব পড়ল ব্যবসায়। বেলুড় মঠে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমেছে বহু। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে জনজীবনেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। দোকান বাজারেও ক্রেতা কম। হাওড়ায় বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠেও এখন দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম। যে ভক্তরা মঠে আসছেন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে তারা মঠ চত্বরে প্রবেশ করছেন।
বেলুড় মঠ চত্বরে দোকানদার থেকে ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বেলুড়ে লঞ্চঘাট প্রায় জনশূন্য। ফেরি পারপার করতে যেখানে কয়েকশো মানুষ বেলুড় মঠ লঞ্চঘাটে আসতেন, সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে ১০ থেকে ১২ জন আসছেন। লঞ্চঘাট চত্বরের যে সব দোকানপাট আছে, তার বেশিরভাগই বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। দু’একটি দোকান খোলা থাকলেও মানুষজন না আসায় কেনাবেচা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। করোনার প্রভাবে এখন সংসার চালাতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।