নিজস্ব প্রতিনিধি: চারবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করার পরেও দল টিকিট না দেওয়ায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, এতদিন পরে দল যে তাঁর সঙ্গে ঠিক ও ন্যায়সঙ্গত আচরণ করেনি তাও এক কথায় জানিয়ে দিয়েছেন সিঙ্গুরের বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘মমতা বললেও আমি সিঙ্গুরে প্রচারে বের হব না।‘
হুগলি জেলায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে যোগদান করার পর স্থানীয় অনেক নেতা টিকিটের দৌড়ে থাকলে অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। পুরশুড়ায় ডঃ নুরুজ্জামানের বদলে টিকিট পেয়েছে তৃণমুল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণ সাঁতরার বদলে টিকিট পেয়েছেন বিজেপি থেকে আসা সৌমিত্র খাঁ-এর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। খানাকুলে ইকবাল আহমেদের বদলে টিকিট পেয়েছে নজিবুল করিম। বলাগড়ে অসীম মাঝির পরিবর্তে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছে মনোরঞ্জন ব্যাপারি। তারকেশ্বরে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের কাউকেই প্রার্থী করেনি দল। বাদ পড়েছেন বিধায়ক রচপাল সিং। বদলে টিকিট পেয়েছেন তৃণমূল খেত মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়।
সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের আক্ষেপ, চার চারবার সিঙ্গুরের মানুষ যেমন তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন, এবারেও তিনি টিকিট পেলে সিঙ্গুরের মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে জয়লাভ করতেন। কিন্তু এবার তৃণমূলের প্রার্থী বেচারাম মান্না জিতবেন কিনা, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন বলেই মত প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে বলেন, যারা কাটমানি, তোলাবাজি করে চলে তারাই দেখছি এখন দলকে শক্তিশালী করছে। যদিও বেচারাম মান্না সিঙ্গুরের টিকিট পেয়ে জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। এবং প্রচারে তিনি মাস্টারমশাইকেও ডাকবেন বলে জানালেও মাস্টারমশাইয়ের স্পষ্ট উত্তর, স্বয়ং মমতা ব্যানার্জী বললেও তিনি প্রচারে তিনি যাবেন না।
অন্যদিকে সিঙ্গুরের পাশের বিধানসভা হরিপালে বেচারামের স্ত্রী করবী মান্নার টিকিট পাওয়া নিয়েও ব্যঙ্গ করেছেন রবীনবাবু। তবে আগামী দিনে তৃণমূল দল থেকে পদত্যাগ করবেন নাকি বিজেপিতে যাবেন- সে ব্যাপারে আগামী দু-তিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই।