ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার আগে যদি কোনও ইস্যু নিয়ে তোলপাড় হয় দেশের রাজনীতি তবে তা হল রাফাল যুদ্ধবিমান ইস্যু। চুক্তি হওয়ার প্রায় প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেস এই রাফাল ইস্যুতে বিরোধিতা করে আসছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী একাধিকবার তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেই রাফাল মামলারই শুনানি হতে চলেছে আজ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল ও কে এম জোশেফের বেঞ্চে উঠতে চলেছে এই মামলা।
শীর্ষ আদালতে এই মামলার আবেদনকারী মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরি, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং। এর আগে রাফাল মামলার শুনানিতে ‘ক্যাগ’ রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, বলা হয়েছিল রাফালে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু তারপর ওই ‘ক্যাগ’ রিপোর্টের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে থাকে। শেষে এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ফের শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফ্রান্সের দ্যাসল্ট থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের চুক্তি নিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তীব্র বিরোধিতা তৈরি হয় বিরোধীদের। মূলত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই ইস্যুকেই ভিত্তি করে একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন। এই প্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’-র রাফাল সংক্রান্ত দুটি রিপোর্ট আরও বাড়িয়ে দেয় বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনিল আম্বানির ‘চুক্তি’ নিয়েও সরব হন রাহুল গান্ধী। অভিযোগ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে মোদী আম্বানিকে ৩০,০০০ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই প্রথম রাফালে আসবে বায়ুসেনায়।