ডেস্ক: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে দলিত ইস্যুতে কংগ্রেস-বিজেপির যুযুধান বর্তমান। দলিতদের নিয়েই দুই দলের মধ্যেই রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। কে দলিতদের জন্য বেশি হিতৈষী তা নিয়ে রীতিমতো দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে দুই পক্ষে। এর মধ্যে শাসক ও বিরোধী দল একে উভয়ের বিরুদ্ধে ‘অনশন’ যুদ্ধে নেমে পড়ছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বারা দলিত উৎপীড়নের অভিযোগ তুলে সোমবার থেকে রাজঘাটে উপবাসে অনশনে বসলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। সকাল ১০টা শুরু হয়ে গিয়েছে এই অনশন।
দলিত বিক্ষোভ সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ সামনে এনেই এই অনশনে বসেছেন রাহুল। দলিত আন্দোলনের আঁচ যেমন দেশজুড়ে ছড়িয়েছিল, তেমনই কংগ্রেসের এই অনশনের কর্মসূচিও দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে সকল প্রদেশ ও জেলা কংগ্রেস নেতাদের এই উপবাস অনশনে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাহুলের মতই দলিত বিক্ষোভ ইস্যু নিয়ে বিজেপির উপর চটে রয়েছেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। শাসকদলকে শাসিয়ে তিনি বলে রেখেছেন আগুন নিয়ে না খেলতে। পাল্টা আক্রমণে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। তাদের তরফে দাবি, কংগ্রেস ভুয়ো খবর রটাচ্ছে যে দলিতদের জন্য সংরক্ষণ প্রথা তুলে দেওয়া দিচ্ছে এনডিএ।
সবমিলিয়ে কর্ণাটক বিধানসভার আগে খুব এক সুবিধাজনক অবস্থায় নেই গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, অনিচ্ছাকৃত বেশ কিছু ভুল করে নরেন্দ্র মোদীর কপালের ভাঁজ আগে থেকেই বাড়িয়ে রেখেছেন তাঁর সেনাপতি অমিত শাহ। তাই বিরোধীদের বেগ দিতে আগামী ১২ এপ্রিল সংসদের কার্যপ্রণালি ব্যাহত করার প্রতিবাদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে উপবাস অনশনের ডাক দিয়েছে বিজেপি।