ডেস্ক: আক্রমণ এবং প্রতিআক্রমণের ছকে নির্বাচনী লড়াই সাজিয়ে কর্ণাটকে তিন দিনের প্রচারে নামলেন রাহুল গান্ধি। প্রধানমন্ত্রীর বহুল চর্চিত ‘পকোড়া’-কে হাতিয়ার করে সেই পকোড়া খেতে খেতেই অভিনব প্রতিবাদ করলেন কংগ্রেস সভাপতি। বাড়তি সংযোজন হিসাবে রাহুলের পকোড়া খাওয়ার সেই ফটোও পোস্ট করে দেওয়া হল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। যার পর থেকেই ফের একবার জাতীয় স্তরের এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে পকোড়া নিয়ে তর্জা শুরু হল।
সোমবার সকাল ১২টার আগেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার সারতে কর্ণাটকের রাইচুড় জেলার গুঞ্জে পৌঁছান রাহুল। সেখানে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু রাস্তায় আচমকাই একটি চা-পকোড়ার দোকানের সামনে থেমে যায় রাহুলের কনভয়। সেখানে নেমে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে সঙ্গে নিয়েই টেবিলে বসে খোশ মেজাজে চা-পকোড়া খাওয়া শুরু করেন তিনি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় রাহুলের সেই ছবি। অনেক সমর্থকেরাই একে ‘পকোড়ে পে চর্চা’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদীকে। এদিন রাহুলের সঙ্গে সিদ্দারামাইয়া ছাড়াও মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অন্যরা ছিলেন।
এরপর রাইচুড়ে একটি জনসভায় যোগ দিয়ে চিরাচরিত কায়দায় কর্মসংস্থান ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর বলেন, বছরে ২ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান দেবেন। চিনে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৫০ হাজার কর্মসংস্থান হয়। নরেন্দ্র মোদী প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৪৫০টি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। এটাই প্রধানমন্ত্রীর সত্যতা।”