মহানগর ওয়েবডেস্ক: তাঁর হাতেই চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। সব দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফাও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। দল অবশ্য তাঁকে ছাড়তে বহু রকম বাঁধার সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে একেবারে মুক্ত মানুষ হয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের একাধিক রাজ্যে। নিয়ম করে সেখানে দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার জন্য ডাক পড়েছিল রাহুল গান্ধীর। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ও তালে তিনি আর নেই।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা দুই রাজ্যে বিধানসভার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিক ভাবে দলের শীর্ষ নেতারা ডাক পাঠিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীকে। কোন প্রার্থী কোন কেন্দ্র থেকে লড়বে, কাকে কোথায় দিলে বিজেপিকে ভালোরকম টক্কর দেওয়া যাবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল সনিয়া তনয়কে তবে প্রত্রপাঠ সে প্রস্তাব নাচক করে দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে রাহুল গান্ধী নাকি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোথায় কোন প্রার্থী দিলে কাজ হবে তা দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বসে ঠিক করুক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। তিনি এই বিষয়ে নাক গলাবেন না।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির সদস্য রাহুল গান্ধী। তবে সম্প্রতি শেষ হওয়া এই কমিটির দুই বৈঠকের একটিতেও যোগ দেননি তিনি। তবে কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রার্থী নির্বাচনে তিনি মতামত না দিলেও দলের প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন রাহুল গান্ধী।