ডেস্ক: বাবা রাজীব গান্ধির হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সময় উঠে আসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির হত্যা প্রসঙ্গ। সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাহুল জানান, ”আমরা বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছি। যে কারণই হোক, কোনও ধরণের হিংসা চাই না।” রাজীবকে যে হত্যা করা হবে তিনি সেকথা জানতেন। তবুও মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছিলেন রাহুল।
কিন্তু এরকম কিছু একটা হবে জানা সত্ত্বেও আটকানো গেল না কেন? রাহুলের কথায়, ”রাজনীতিতে কেউ যখন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেন, তখন তাঁকে খুন হতেই হয়। আমি জানতাম আমার ঠাকুমা (ইন্দিরা গান্ধি) মারা যাবেন, বাবা মারা যাবেন। ঠাকুমা আমাকে বলেছিলেন, তিনি মারা যাবেন। আমি বাবাকে বলেছিলাম, তাঁর মৃত্যু হবে। অনেক বছর ধরে আমরা হতাশ ও আহত ছিলাম। আমরা ক্ষুব্ধও ছিলাম। তবে এখন আমি আর প্রিয়ঙ্কা বাবার হত্যাকারীদের পুরোপুরি ক্ষমা করে দিয়েছি।”
শুধু রাজীব গান্ধি নন, ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধির মৃত্যুর সম্পর্কেও এদিন বলতে শোনা রাহুলকে। তিনি বলেন, ”ঠাকুমাকে যখন হত্যা করা হয় তখন আমার ১৪ বছর বয়স ছিল। যারা আমার ঠাকুমাকে হত্যা করেছিল, তাদের সঙ্গে আমি ব্যাডমিন্টন খেলতাম।”
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এলটিটিই মহিলা জঙ্গির হাতে নিহত হন রাজীব গান্ধি। এতো দিন পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি রাজীব পুত্র। এই ঘটনার দীর্ঘ ২৭ বছর পর এলটিটি প্রধান প্রভাকরণের মৃতদেহ দেখে তাঁর কেমন অনুভূতি হয়েছিল সেকথাও জানালেন রাহুল। প্রভাকরণ সম্পর্কে রাহুল বলেন, ”টিভিতে যখন ওকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলাম, আমার দু’টি অনুভূতি হয়েছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল, তাঁকে কেন এভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে? এরপর তাঁর ও তাঁর সন্তানদের জন্য খারাপ লেগেছিল।”