মহানগর ওয়েবডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দিয়েই নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বলেন, কংগ্রেসে থেকে নিজের মতো কাজ করতে পারছিলেন না তিনি। আরও বলেন, কংগ্রেস আর আগের মতো নেই, সেখানে থেকে জনসেবা আর সম্ভব হচ্ছিল না। এমনকি মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস মাফিয়ারাজ চালাচ্ছে বলেও তোপ দাগেন জ্যোতি। এবার তাঁকে পাল্টা একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি দাবি করলেন, জ্যোতিরাদিত্য নিজের আদর্শকে পকেটে পুরে রেখেছেন।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে রাহুল গান্ধী বলেন, রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সেই কারণেই তিনি তাঁর সমস্ত আদর্শ পকেটে পুরে দিয়েছেন। তাঁর মতে, জ্যোতি মুখে এক কথা বলছেন কিন্তু তাঁর মনে অন্য কথাই রয়েছে। পাশাপাশি জ্যোতি বিজেপিতে কেমন থাকবেন সেই নিয়েও ‘চিন্তা’ প্রকাশ করেন রাহুল। মন্তব্য করেন, ওখানে হয়তো সে কাজ করার আনন্দ পাবে না এবং প্রাপ্য সম্মানও পাবে না। অন্যদিকে, নিজের সঙ্গে কমল নাথ এবং জ্যোতিরাদিত্যের পুরনো একটি ছবিও পোস্ট করেন রাহুল।
The two most powerful warriors are patience and time.
– Leo Tolstoy pic.twitter.com/MiRq2IlrIg
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 13, 2018
জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে জ্যোতি তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘এই কংগ্রেস আর আগের মতো নেই। এরা নতুনদের গুরুত্ব দেয় না। এরা বাস্তবকে অস্বীকার করে। এবং এই দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা নীতি হীনতায় ভোগে। ২০১৮ সালে একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি। ১০ দিনের মধ্যে এখানকার সমস্ত কৃষকের ঋণ মুকুব করে দেব। কিন্তু ১৮ মাস হয়ে গেল এখনও তা হয়নি। আগের বছরের ফসলের বোনাস এখনও পায়নি কৃষক। বেকার ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছিল সেটাও হয়নি। ফলস্বরূপ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদি দেশকে সঠিক পথে চালাতে হয় তবে বিজেপির সঙ্গে থেকে দেশসেবা ও রাষ্ট্রসেবা করতে হবে।’
অন্যদিকে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নাকি মাসের পর মাস চেষ্টা করেও রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, কারণ জ্যোতিকে অনুমতিই দেওয়া হয়নি, এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এনে আলোড়ন ফেলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ভাইপো তথা ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদ্যুৎ মাণিক্য দেববর্মা। তিনি বলেন, জ্যোতিরাদিত্য রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন ভীষণভাবে। কয়েকদিন নয়, বহু মাস ধরেই তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু কোনওরকম সময় তাঁকে দেওয়া হয়নি দল বা খোদ রাহুল গান্ধীর তরফেও।