ডেস্ক: বলিউডের ‘চাঁদনী’ শ্রীদেবীর মৃত্যু ও তেরঙ্গার সম্মান, এই দুই নিয়ে মিশেল বক্তব্য দিয়ে ফের বিতর্কের শিরোনামে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের প্রথম সারির এই নেতার দাবি, মদ্যপ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। তাই তাঁর দেহ ভারতের জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়া অসম্মান ছাড়া আর কিছুই না। শুধু তাই নয়, ঠাকরে আরও বলেন, নীরব মোদীর ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতেই শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে মাতামাতি করেছে সংবাদ মাধ্যমগুলি।
রূপোলী পর্দার ডিভা চোখ বুজে ফেলার পর এই প্রথম তাঁকে নিয়ে মুখ খুললেন রাজ। এমএনএস প্রধান রাজ বরাবরই ঠোট কাটা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবেই পরিচিত। তিনি যা ঠিক বলে মনে করেন, তা সর্বদা বুক ঠুকে বলতে পছন্দ করেন এই নেতা। শ্রীদেবীর মৃত্যু ও নীরব মোদী কাণ্ড নিয়ে বয়ান দিয়ে রাজ বলেন, ”দেশজুড়ে নীরব মোদীকে নিয়ে চর্চা চলছিল। এরপর শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। মূল বিষয়বস্ত থেকে মানুষের মনঃসংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়। শ্রীদেবী অসাধারণ অভিনেত্রী ছিলেন। কিন্তু তিনি দেশের জন্য এমন কী করেছেন যে তেরঙ্গায় মোড়া হবে ওঁর দেহ? শুধু এই জন্য যে তাঁকে পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল?
এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঠাকরে আরও দাবি করেন যে, সরকারের চাপে পড়ে মিডিয়াগুলি সরকারের এজেন্ডা দেখাতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ যত খবর শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে দেখানো হয়েছিল, তত খবর বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু নিয়ে দেখানো হয়নি। এদিনের ভাষণ জুড়ে যে বলিউডের একাংশই ছিলেন রাজের নিশানায়। শ্রীদেবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর অক্ষয় কুমারকেও রেয়াত করলেন না তিনি। রাজের দাবি, অক্ষয় অভিনীত সম্প্রতি দুই ছবি ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ ও ‘প্যাডম্যান’ কেবল সরকারি সরকারি প্রকল্পের প্রোপাগান্ডা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অক্ষয় কুমার ভারতীয়ই নন। এই দাবির সপক্ষে রাজ বলেন যে অক্ষয়ের কাছে নাকি কানাডার পাসপোর্ট আছে।