মহানগর ওয়েবডেস্ক: যাকে বলা যায় আদর্শ টি২০ ম্যাচ। পিচে বোলারদের জন্য কিছু নেই, ব্যাটসম্যানদের সোনায় সোহাগা আর রানের ফুলঝুরি। প্রথমে পঞ্জাবের হয়ে মায়াঙ্ক ও রাহুল, পরে রাজস্থানের স্মিথ ও সঞ্জু, আর শেষদিকে তেওয়াতিয়া। তাদের দৌলতেই হারের মুখ থেকে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান। তবে তারিফ করতে হয় পঞ্জাবের ফিল্ডিংয়ের। পুরান বা মায়াঙ্করা বাউন্ডারি লাইনে যে কয়েকটা সেভ করলেন, তা দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। অবশ্য যে দলের ফিল্ডিং কোচ জন্টি রোডস, সেই দলের ফিল্ডিং যে অসাধারণ হবে, তা বলাই বাহুল্য।
ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে পঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান। আর ব্যাটে নেমে ধুমধারাক্কা শুরু পঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও লোকেশ রাহুলের। দুজনে মিলে প্রথম উইকেটে রেকর্ড ১৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৪৫ বলে আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকান মায়াঙ্ক। শেষমেষ ৫০ বলে ১০৬ রান করে টম কুরানের শিকার হন তিনি। ৫৪ বলে ৬৯ রান করেন রাহুল। এরপর পুরান ও ম্যাক্সওয়েল মিলে দলকে ২২৩ রানের বিশাল স্কোরে নিয়ে যান। রাজস্থানের কোনও বোলারই সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি রাজস্থানের। শুরুতেই ফিরে যান বাটলার (৪)। তবে এরপরেই পাল্টা মার দেওয়া শুরু করেন স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসন। দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রান যোগ করেন দুজনে। শেষমেষ ৫০ রান করে আউট হয়ে যান স্মিথ। তবে অন্য প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান সঞ্জু। যদিও শামির বলে ভুল শট খেলে আউট হয়ে যান তিনি। ৪২ বলে ৮৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। আর সঞ্জু আউট হতেই রাজস্থানের জয়ের আশাও যেন শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ১৮তম ওভারে কট্রেলকে পাঁচটি ছয় হাঁকিয়ে খেলা ফের জমিয়ে দেন তেওয়াতিয়া। ১৯তম ওভারে শামিও তিনটি ছক্কা খান। ম্যাচ ওই দুই ওভারেই ঘুরে যায়। শেষমেষ তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।