মহানগর ওয়েবডেস্ক: মামলা চলছে ঠিকই, তবে ভাঙা মসজিদ সরিয়ে সেখানে যে রাম মন্দিরই তৈরি হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। তলে তলে পাথর জড়ো করা থেকে শুরু করে কীভাবে কোন পথে বহু প্রতিক্ষিত এই রাম মন্দির গড়ে তোলা হবে তার ছকও সাজিয়ে ফেলেছেন মন্দিরের শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শিব সেনা হোক বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ধর্য্যের বাঁধ ভেঙে মাঝে মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের পাতায় উঠে আসছে আলটপকা মন্তব্য। যদিও এই ধরণের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার বার্তা গত কালি দিয়েছিলেন মোদী। তবে কে শোনে কার কথা। এবার রামমন্দির নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করে বসলেন হিন্দু মহাসভার নেতা স্বামী চক্রপাণি।
ধীর পায়ে চলা মামলার সময়সীমা বেঁধে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নভেম্বরের মধ্যেই রামমন্দির মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। এরপরই আশায় বুক বেঁধেছে একাধিক হিন্দু সংগঠন। এরই মাঝে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিন্দু মহাসভার নেতা স্বামী চক্রপাণি জানান, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আদালত রাম মন্দিরের রায় দিলে তা নিশ্চিত ভাবে আমাদের পক্ষেই যাবে। আর হিন্দুরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মামলা জিতলে ভগবান শ্রীরামে মন্দির ইট পাথর দিয়ে নয় তৈরি করা হবে সোনা দিয়ে।’ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ‘সনাতন ধর্মী হিন্দুরা শুধু ভারতে নয় ছড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বে। আর বিশ্বের সমস্ত হিন্দুরা চায় রামমন্দির তৈরি হোক সোনা দিয়ে।’ এদিকে নরেন্দ্র মোদীর বার্তা অনুযায়ী মামলা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও বাক্যবাগীশ যেন আলটপকা মন্তব্য না করেন। সে হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে স্বামী চক্রপাণির এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে দেশজুড়ে যেভাবে মন্তব্য করা হচ্ছে তা বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলছে এই অভিযোগ আগেই উঠেছিল। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের নাসিকে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘বিগত ২ থেকে তিন সপ্তাহ ধরে বেশকিছু ‘বয়ান বাহাদুর’ রামমন্দির নিয়ে অনর্থক মন্তব্য করেই চলেছেন। তাদের বলব দেশের শীর্ষ আদালতের উপর ভরসা রাখুন। প্রত্যেক পক্ষই নিজেদের মতামত আদালতকে জানিয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট তাদের বক্তব্য শুনছে।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমি অবাক হই, এই ধরণের বাক্যবাগিসরা কোথা থেকে আসেন। কেন তাঁরা এই ধরণের সমস্যা তৈরি করেন? দেশের আইনের উপর আমাদের সকলের ভরসা রাখা উচিত। রামচন্দ্রের দোহাই দেশের বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করুন।’ তবে সে সবকে থোড়াই কেয়ার চক্রপাণি।