ডেস্ক: গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন এক কর্মীকে নাকি যৌন হেনস্থা করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক মহিলার তরফে দায়ের করা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রুপে অস্বীকার করার পাশাপাশি, রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, ‘আসলে বিচার ব্যবস্থাটাই পড়ে গিয়েছে সংকটে।’
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে প্রধান বিচারপতি জানান, ‘এই সমস্ত অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য আমার যতটা নিচে নামা প্রয়োজন, অতটা নিচে নামতে আমি পারব না। চাকরি জীবনের ২০ বছর পার করার পর এটাই কি আমার প্রাপ্য ছিল?’ এর পাশাপাশি, অভিযোগকারি ওই মহিলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মাঝেই এই মামলার বিচারের জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বেই বানানো হয়েছে বিশেষ বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার শীর্ষ আদালতের ২২ জন বিচারপতিকে দেওয়া এফিডেভিটে সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন এক মহিলা কর্মী অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে অভব্যতা করেছেন প্রধান বিচারপতি। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর তাঁর সঙ্গে অভব্যতা করেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি। তাঁকে জড়িয়ে ধরে তাঁর সারা শরীরে হাত বোলানোর চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকে সুপ্রিমকোর্টের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। শুধু তিনি নন তাঁর পরিবারের উপরও নেমে আসে আক্রোশ। প্রভাব খাটিয়ে আক্রমণ চালানো হয় তাঁর পরিবারের উপরও। দিল্লি পুলিশের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয় তাঁর স্বামী ও দেওরকে। চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই মহিলার ভাইকেও। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের সেক্রেটারি জেনারেল জানান, ‘গোটা বিষয়টি সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা। প্রধান বিচারপতির সম্মানহানির জন্যই এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলা।