ডেস্ক: সবাই রয়েছেন কিন্তু তিনি নেই। রাজনীতি থেকে ব্যক্তিগত জীবন গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া সব কিছু থেকে একরকম অঘোষিত সন্ন্যাস নিয়ে নিয়েছেন তিনি। এককালের দাপুটে রাজনীতিবিদ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি, মেয়র সহ একাধিক মন্ত্রিত্ব। এক বৈশাখী ঝড়ে সব শেষ হয়ে যাওয়ার পর এক রকম লোকচক্ষুর আড়ালে তিনি। শনিবার গোটা ভারত যখন ব্রিগেডের ময়দানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মমতার ডাকে আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে দেখা গেল না মমতার প্রিয় কানন শোভনকে। তবে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে জলঘোলাও কম হচ্ছে না। ব্রিগেডের এই বিশাল মঞ্চে শোভনের অনুপস্থিতি যে একেবারেই ঠিক কাজ হয়নি এমনটাই মত শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের।
mahanagar24x7-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রত্না জানান, আজ কলকাতার বুকে সমস্ত বিরোধীদের এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঐতিহাসিক সভার আয়োজন করেছেন, যেখানে সারা দেশের একাধিক নেতারা হাজির হয়েছেন সেখানে ওনার উপস্থিত না থাকাটা একটা ভীষণই বড় ভুল সিদ্ধান্ত। একটা সময় মমতার হাত ধরেই রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি হয়েছে শোভনের। এবং এতদূর ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত থেকে মমতার হাত শক্ত করাটা উচিৎ ছিল ওনার।’ একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে রাজনৈতিক জীবনকে গুলিয়ে না ফেলে ওনার উচিৎ ছিল আজকের ব্রিগেডে আসা।’
তৃণমূল থেকে একরকম সরে যাওয়ার পর এদিনের বিশাল সভায় শোভনের অনুপস্থিতি কি শুধুই অভিমান নাকি তলে তলে অন্য কোনও পরিকল্পনা করছেন শোভন। এপ্রসঙ্গে রত্না দেবীর সাফ জবাব, ‘দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে শোভনের কথাবার্তা নেই। ফলে উনি কি ভাবছেন সেটা উনিই বলতে পারবেন ভালো। মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর থেকে শুধু ব্রিগেড নয়, এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি শোভন। এবার কেন উনি সেটা করছেন না কি ওনার চিন্তাভাবনা সেটা পরিষ্কার নয় আমার কাছে। তবে দলও তাঁকে সরে থাকতে বলেননি, এটা তাঁর একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’