ডেস্ক: কেন্দ্রের আধার নিয়ে চরম বিতর্কের মাঝেই এবার আধার কার্ডের সঙ্গে নিজের ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণ করতে রাজি নন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তথা আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সাংবাদিকদের সামনে এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, একজন মন্ত্রী হিসাবে নয় ব্যক্তি মানুষ হিসাবে আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড যুক্ত করা কখনই উচিৎ নয়। তাঁর মতে, ‘এই দুই কার্ডের উদ্দেশ্য সম্পুর্ন আলাদা।’
তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র চায় না তাঁদের বিরুদ্ধে জনতা চরবৃত্তির অভিযোগ তুলুক। ভোটার কার্ড ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েব পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত, এখান থেকে নিজের পোলিং বুথ ও তার ঠিকানা জানা যাবে। আধারের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। যদি এই দুটি একত্রে যুক্ত হয় তবে মানুষ অভিযোগ তুলবে মানুষ কি খাচ্ছে, কি পরছে সব কিছুতে নজরদারী করছে কেন্দ্র।’
তবে ভোটার কার্ডের বিষয়ে অনিচ্ছুক হলেও, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব সমর্থন করেছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘এর ফলে সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা সরাসরি উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে, বাড়বে স্বচ্ছতা।’ একইসঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেও একহাত নেন রবিশঙ্কর। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদীর আধার এবং মনমোহনের আধার মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মনমোহনের আধারের কোনওভাবেই আইনসম্মত ছিল না। কিন্তু গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে এখনকার আধার পুরোপুরি আইন সম্মত।
তবে সম্প্রতি আধার বিড়ম্বনা এই মুহুর্তে আরও বেশী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আধার কর্তা অনিল ভূষন পান্ডের আধার তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াতে। কিছুদিন আগে তিনি সুপ্রিমকোর্টে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, আধারের তথ্য ফাঁস নিয়ে এত কথা উঠছে। কেউ যদি পারে তবে তাঁর আধার তথ্য ফাঁস করে দেখাক। এর ঠিক পরেই অনিল ভূষনের আধার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ফাঁস করে দেয় সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট এবং সফটওয়্যার ডেভলপার আনন্দ বেঙ্কটনারায়ণ।